সংবাদচর্চা রিপোর্ট
শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসমান কচুরীপানার কারনে নৌ-চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময়ধরে নদীতে জমাটবাধা এই কচুরীপানার জন্য প্রচন্ড দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নৌকা চালক ও যাত্রীদের।
সরেজমিনে শহরের নবীগঞ্জ গুদারাঘাট থেকে কেরোসিনঘাট পর্যন্ত বেশিরভাগ জায়গায় জমাটবাধা কচুরীপানা দেখা যায়। যার কারনে ছোট-বড় প্রায় ৮ থেকে ১০টি গুদারাঘাট প্রায় অচল হয়ে পরেছে। এছাড়াও ছোট ছোট নৌকার মাঝিদের ঘাটে ভিড়তে বেশ বেগ পোহাতে হয়।যাত্রীদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে নদীতে কচুরীপানার অবস্থানের কারনে মানুষের চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
কেউ ঠিক সময়মতো গন্তব্যে পৌছাতে পারে না। জমাটবাধা কচুরীপানার কারনে নৌকা সামনের দিকে আগাতে পারে না। কচুরিপানার কারণে শীতলক্ষ্যায় নৌ চলাচল প্রায় বন্ধের পথে। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে কচুরিপানা পচে যাওয়ায়। পচা কচুরিপানার দুর্গন্ধে একদিকে বসবাস যেমন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি এই পানি পরিণত হয়েছে মশার প্রজননক্ষেত্রে।
এক মাস ধরে মানুষ এই সমস্যায় ভুগছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হেলার কারনে কোন সমাধান মিলছে না।নৌ-চালকরা জানান, নদীতে জমাটবাধা কচুরীপানার জন্য নৌকা চালাতে বেশ বেগ পেতে হয়। স্বাভাবিকভাবে যেখানে ঘাট পার হতে ৫ মিনিট সময় লাগতো সেখানে এখন ১৫ মিনিট সময় লাগে।
এছাড়াও কচুরীপানার জন্য নৌকা এক জায়গাতে অনেক্ষণ আটকেও থাকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে মাঝীরা বলেন, শীঘ্রই এর একটা বিহিত করে দেয়া দরকার। তা না হলে কচুরীপানা নদীতে বাড়তেই থাকবে সেই সাথে নৌকা চালানো যাবে না।