আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শামীম ওসমানের আশ্বাসে মিলে না সমাধান

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
গেল কয়েক বছর ধরে আশ্বাসের  পর  আশ্বাস দিয়েও ফতুল্লার জলাদ্ধতা নিরসন করতে পারেননি সাংসদ শামীম ওসমান। এতে করে তার প্রতি ফতুল্লা অঞ্চলের মানুষের আস্থা হারাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
তারা বলছেন, জুন-জুলাই থেকে মূলত ভরা বর্ষার মৌসম শুরু হয়। এই সময়টাতে বৃষ্টিপাতের কারণে জলাদ্ধতার সৃষ্টি হয় ফতুল্লার নিম্নাঞ্চলগুলো। ২০২১ সালে পানিবন্দি মানুষের ক্ষোভ বিগরে যাওয়ার পর সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকাগুলোর দুর্দশা লাঘবের জন্য এলজিইডির ১৫০ কোটি টাকার এক প্রকল্পের কথা তুলে ধরেছিলেন এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছিলেন, এই প্রকল্প পাশ হলে সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা থেকে স্থায়ীভাবে মুক্তি মিলবে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একনেকে পাশ হয় ১৫০ কোটি টাকার ওই জিওবি প্রকল্প। তবে এ প্রকল্প পাসের দীর্ঘ প্রায় দুবছর অতিবাহিত হতে চললেও কাজের দেখা মিলেনি।
জানা গেছে, ডিএনডির মেগা প্রজেক্টের আওতায় না আসেনি ফতুল্লার লালপুর ও ইসদাইর এলাকা। তাই ভারি বর্ষন হলেই এসব এলাকায় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয় স্থানীয়দের। এমনকি বৃষ্টি না হলেও বছরের বেশিরভাগ সময়ে জলাবদ্ধতা থাকে লালপুর পৌষার পুকুরপাড় এলাকায়। ডিএনডির মেগা প্রজেক্টের কাজ চললেও প্রকল্পের আওতায় না আসায় দুঃসহ ভোগান্তির চিত্রের পরিবর্তন হয়নি সেখানে। বর্তমানেও মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রায় তিন লক্ষাধিক মানুষ। যদিও মানবতার দিক বিবেচনায় প্রকল্পের বাইরে গিয়েও লালপুর ও ইসদাইরের জলাবদ্ধতা দূর করণে প্রচেষ্টা চালিয়েছিল ডিএনডি প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর সদস্যরা। লালপুর পাম্প হাউজে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে একাধিক পাম্প প্রদান এবং ইসদাইরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া একটি দখলকৃত খাল উদ্ধার ও খননও করতে দেখা গেছে সেনাবাহিনীকে।
তবে, লালপুর, ইসদাইর এবং ফতুল্লার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের অভ্যান্তরীন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভঙ্গুর হওয়ায় সেনাবাহিনীর প্রাথমিক প্রচেষ্টাতেও খুব একটা সুফল মেলেনি সেখানে। ডিএনডি প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের ভাষ্য, খাল দখলমুক্ত হলেও অভ্যান্তরীন ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভঙ্গুর হওয়ায় খাল পর্যন্ত পানি আসছে না। তাছাড়া, এসব এলাকার সড়কগুলোও পরিকল্পনা মাফিক উন্নয়ন হয়নি। তাই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিবছর জলাব্ধতার সময় এলেই আশ^াস দেন সাংসদ শামীম ওসমান। কিন্তু সেই আশ^াসের বাস্তবায়ন আর হয় না। এতে করে তার প্রতি দুর্ভোগে থাকা মানুষগুলোর ক্ষোভ দিনদিন বৃদ্ধিই পাচ্ছে। তারা এখন আর কোনো আশ^াসের ফাঁদে পড়তে রাজি নন। তারা চানা জলাবদ্ধতার কবল থেকে স্থায়ীভাবে সমাধান।