আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রোজা ও ঈদকে ঘিরে অসাধু ব্যবসায়ীরা তৎপর

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
পবিত্র রমজান মাস আসার আগেই ‘দাম বাড়বেনা’ বলে আশস্ত করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তবে তাদের আশ্বাসের সুফল পায়না মানুষ। একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী আখের গুছাতে দাম বাড়িয়ে দেন। কেউ আবার ভেজাল খাবার বিক্রি মুনাফা তুলেন কয়েক গুণ।

অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত বাজার মনিটরিং ও সমন্বয়হীনতার কারনেই প্রতিবছর মাশুল দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বললেন, বাজার নিয়মিত মনিটরিং হবে।
বিভিন্নজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রমজান আসার আগেই দাম বাড়িয়ে দেয় একশ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ী। অতিরিক্ত মজুদকরণের মাধ্যমে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অপর্যাপ্ত ও বাজার মনিটরিং-এ সমন্বয়হীনতা, দুর্বিষহ যানজট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয় দেখিয়ে ফায়দা লুটে তারা। দাম বাড়ায় নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ সাধারণ নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা রমজান আসার আগেই বাজার মনিটরিং করছি। তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত বাজারে গিয়ে দেখবো নির্ধারিত মূল্যের বেশি দাম রাখলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অনেক সময় দেখা যায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা রমজান, ঈদকে কেন্দ্র করে নকল পণ্য সরবারহ করে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবো।।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বী বলেন, রমজানে দ্রব্যমূল যেনো নিয়ন্ত্রিত থাকে সেদিকে অবশ্যই প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রমজানকে পুঁজি করে যেনো কোন অসাধু ব্যবসায়ীরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে জিম্মি না করতে পারে সেদিকেও প্রশাসনের দৃষ্টি রাখতে হবে।

আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি আলহাজ্ব নূর উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, জেলাবাসীর বিভিন্ন সমস্যা আমরা আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে তুলে ধরি। যেহুতু রোজার মাস ধর্মপ্রাণ মুসলমাদের এবাদত বন্দেগীর একটি উত্তম মাস। সেহুতু ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান তারা যেনো কোন প্রকার ভেজাল খাবার বাজারে সরবারহ না করে।
আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সহ-সভাপতি এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল বলেন, আমরা ৬ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের নিকট একটি স্মারকলিপি প্রদান করবো। ব্যবসায়ীরা যেনো অধিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে দ্রব্যমূল বৃদ্ধি না করে। আর খাবারে ক্যামিকেল তথা রং ব্যবহার না করে।

মুফতি মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমাদের সংগঠনের আমীর পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নির্দেশে আমরা প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে দ্রব্যমূল সহনশীল রাখার দাবীতে চিঠি দিয়েছি। প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন এ বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানে আছেন।

তিনি ব্যবসায়ীদের আহবান জানিয়ে বলেন, রমজান মাসে যেনো ব্যবসায়ীরা খাদ্যে যেনো কোনরুপ ভেজাল না দেয়। আমি আশা করবো ব্যবসায়ী রমজান মাসে অধিক পূজির আশায় খাদ্য সিন্ডিকেট করে সাধারণ ভোক্তাদের ক্ষতি করবে না।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ