নিজস্ব প্রতিবেদক:
এমনিতেই অভিযোগের শেষ নেই নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা বিশিষ্ট খানপুর হাসপাতাল নিয়ে। তার উপর নতুন করে যোগ হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর খামখেয়ালীপনা। হাসপাতালে রোগীদের জন্য নির্মিত বিছানায় এখন শুয়ে থাকে বিড়াল। সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্বেও আশ্চর্যজনক এ বিষয় কর্তৃপক্ষের জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করেছেন নগরীর পর্যবেক্ষক মহল।
সরেজমিনে দেখা যায়, যেখানে রোগীর শুয়ে থাকার কথা সেখানে ঘুমিয়ে আছে একটি বিড়াল। আর এর আশপাশটাও বেশ নোংরা। হাসপাতালে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তদারকি করছেন ঠিকই কিন্তু যেখানে সমস্যা বিদ্যমান সেখানে তাদের চোখ পরছে না।
এ বিষয়ে উপস্থিত একাধিক রোগী ও তার স্বজনরা জানান, খানপুর হাসাপাতালের পরিবেশ নিয়ে প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। তারপরেও এসকল বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা থেকেই যায়। শুধু বিড়াল নয় কুকুর পর্যন্ত ঘোরাফেরা করে হাসপাতালের ভিতরে। স্যাঁতসেঁতে ফ্লোরের মধ্যে পরে থাকে স্যালাইনের বাক্স, ওষুদের খোসাসহ আরও অনেক কিছু।
পর্যবেক্ষক মহলের মতে, যেখানে অসুস্থ মানুষ সেবা নেয় সেই জায়গায়টা স্বাভাবিকভাবেই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়া উচিৎ। সরকারি হাসপাতালে কুকুর-বেড়াল অবস্থান করার বিষয়টি লজ্জাজনক। পর্যাপ্ত পরিমান কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকা সত্বেও হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে মানুষের ব্যপক অভিযোগ। সরকার তাদেরকে পর্যাপ্ত বেতন দিয়ে রেখেছে শুধুমাত্র মানুষের সেবা করার জন্য। তারা তা না করে ব্যক্তিগত কাজেই বেশি ব্যস্ত থাকে।
এ বিষয়ে জানতে সংবাদচর্চা থেকে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক আবু জাহেরকে ফোন দেয়া হলে তার ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. সোহেল জানান, হাসপাতালের যেকোন বিষয়ে তারা সবসময় তদারকি করে। সোহেল বলেন, হাসপাতাল পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করি। তারপরেও রোগীর বিছানায় বিড়াল এবং অপরিস্কার অপরিচ্ছন্নতার বিষয়টি আমরা দেখবো।