আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে জমি মালিকদের জিন্মি করে রফিকের আদায় লাখ টাকা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কেউ নন তিনি। তবুও এখানকার মাতব্বর রফিকুল ইসলাম রফিক। এলাকায় মানুষ তাকে নায়েব ( তহশিলদার) রফিক নামেই চেনে। ৮ বছর ধরে এ অফিসে দালালি ও মাতব্বরি করে বাড়িতে ৫ তলা ভবন নির্মাণ করেছে সে। আছে আরও সম্পদক। তবে রফিক দাবি করছে, তিনি একজন ভেন্ডার।

সূত্র জানায়, বিগত ৮ বছর যাবৎ রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ওমেদার হিসেবে কাজ করে আসছে গোয়ালপাড়া এলাকার নায়েবপাড়ার রফিকুল ইসলাম ওরফে নায়েব রফিক। নায়েব না হলেও রফিককে নায়েব বলেই জানে স্থানীয়রা। তাই তার কাছেই নামজারী, পর্চা সৃজন ও রাজস্ব দেয় স্থানীয় জমি মালিকরা। আর এ সুযোগে জমি মালিকদের জিন্মি করে আদায় করে লাখ লাখ টাকা। পূর্বাচলের প্লট জমা খারিজ ছাড়াও আশপাশের মৌজার জমি মালিকরা তাকে ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ লোক বলেই জানে। স্থানীয়রা জানান, আগে যেখানে রফিক ও তার পরিবার দুমুঠো খাবার জোগার করতে পারতো না। সেই এখন কোটিপতি। কারন হিসেবে জানা যায়, ভুমি অফিসে অস্থায়ীভাবে যোগদানের পরই আলাদিনের চেরাগ হাতে পায় রফিক। সূত্র আরো জানায়, রফিক দীর্ঘদিন যাবৎ ভুমি অফিসের নায়েবদের খাস লোক হিসেবে কাজ করে আসছেন। আর তাতে ভুমি অফিসারদের কাছে রয়েছে বেশ কদর। এ সুযোগে যে নায়েব যোগ দেন এ অফিসে তাকেই জিন্মিদশায় ফেলে রফিক। স্থানীয় হিসেবে প্রভাব খাঁটিয়ে তার অবস্থান ঠিক রাখেন বলে রয়েছে অভিযোগ।

স্থানীয় জমি মালিকদের অভিযোগ বিভিন্ন আবাসন কোম্পানীর সঙ্গে রয়েছে রফিকের যোগাসাজস। তার মাধ্যমে জমি মালিকদের পর্চা ও নামজারী তথ্য পৌঁছে দেয়া হয় আবাসন কর্মীদের। অভিযোগ রয়েছে, ফলে আবাসনের লোকজন জমি মালিকদের ওয়ারিশ বা নানা জালিয়াতির মাধ্যমে হয়রানী করে। তাছাড়া কোন জমি বিক্রি হলে সেখান থেকে ভাগ বাটোয়ারা নেয় সে। এ বিষয়ে শনিবার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি অনুমতি নিয়ে ভুমি অফিসে কাজ করি। তাছাড়া আমার জমি বিক্রি করে বাড়ি করছি তাতে কারো কিছু করার নাই। তবে সোমবার ফের তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি দাবি করেন, তিনি একজন ভেন্ডার বা দলিল লিখক। তার লাইসেন্স নম্বর ২৩১। কাজের প্রয়োজেন তিনি রূপগঞ্জ সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যাতায়াত করেন বলে স্বীকারও করেন।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন সহকারী অফিসার ভুমি মোক্তার হোসেন বলেন, লোকবলের অভাবে কিছু ভাসমান লোক ডে লেবার হিসেবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে রফিক একজন। তবে সে কোন অনিয়ম করে থাকলে তা দেখা হবে। এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভুমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, রফিক নামের কোন কর্মচারী সংশ্লিষ্ট অফিসে নেই। সুতরাং তার অপকর্মের দায় ভুমি অফিস গ্রহণ করবে না। তবে কারো মদদে এমন লোক থাকলে তাদের বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ