আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু, মামলা এখনো চলমান

তিন মাস পেড়িয়ে গেলেও এখনো নারায়ণগঞ্জের গৃহবধূ কাকুলীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হয়নি। মৃত হাফসার পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি পরকীয়া জেরে আত্মহত্যা করেছে ওই নারী। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টও বলছে আত্মহত্যা। আর পুলিশ বলছে, মৃত্যুর ঘটনায় হওয়া মামলার অধিকতর তদন্ত চলছে।

প্রায় ছয় বছর আগে রূপগঞ্জের ভূলতা এলাকার সাইফুল ইসলাম ওরফে শাকিল মেল্লার সঙ্গে বিয়ে হয় হাফসা আক্তার কাকুলীর। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য সংসার জীবনে সাইফা আক্তার নামে একটি ৫ বছরের মেয়ে ও দেড় বছরের আব্দুল্লাহ সাওয়াদ নামে দুই সন্তান রয়েছে। তবে গত এক বছর ধরে নানা বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তাকে অচেতন অবস্থায় তার স্বামী ,শ্বশুর, ননদ সবাই মিলে তাকে ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে মৃত ঘোষণা করে , যার ডকুমেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আছে।

কাকুলির শ্বশুর বাড়ির লোকজন বলেন, কাকুলী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো। সে ঘটনা জানাজানি হলে সংসারে কলহ সৃষ্টি হওয়ায় সে অভিমান করে ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে কাকলী। ঘটনার দিন তার স্বামী এবং পরিবারের লোকজনসহ প্রতিবেশীরা গিয়ে দরজা ভেঙ্গে কাকুলীকে উদ্ধার করে ইউএস বাংলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে।

অন্যদিকে নিহতের বাব ইসমাইল মিয়া মামুন বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় মামলা দায়ের করতে চাইলে নিকটস্থ পুলিশ ফাড়ির কর্তব্যরত অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক এটি একটি আত্মহত্যা বলে মনস্থির করেন এবং মামলা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে স্বামী শাকিল মোল্লাসহ তার মা শাহিদা বেগম, বোন শিমা বেগমসহ পাঁচ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবী করেন তিনি।

এবিষয়ে রুপগঞ্জ থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ সার্কেল) মো. আবির হোসেন জানান, মামলাটি এখনো তদন্ত চলছে। ঘটনার অধিকতর তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত শেষে বেড়িয়ে আসবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা। এদিকে দ্রুত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ