নবকুমার
রাশিয়া বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স।১৫ জুলাই মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়া হারিয়ে ২১ তম বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটের মাথায় তার আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপ ফাইনাল এর আগে আত্মঘাতি গোলের নজির নেই। কিন্তু মানজুকিচ সেই বৃত্তটা পূরণ করলেন। চিন্তায় ফেলে দিলেন পুরো ক্রোয়েশিয়াকে। কারণ এর আগে আট বিশ্বকাপে যারা প্রথমে গোল করেছে তারাই শিরোপা উৎসব করেছে।
এরপর ২৮ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করে ইনজুরির কারণে অনিশ্চিত থাকা পেরিসিচ ক্রোয়েশিয়া স্ট্রাইকারের সেই আত্মঘাতি গোলের দায় ঘোচান। দলকে এনে দেন ভরসা। তার গোলে ১-১ গোলের সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সে স্বস্তি ১০ মিনিটের বেশি রাখতে পারলো না ক্রোয়াটরা। আবার গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে তারা।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে মানজুকিচের দায় মেটানো পেরিসিচ এবার নিজেই দায়বদ্ধ হয়ে পড়েন। ক্রোয়াট ফরোয়ার্ড ফ্রান্সের নেওয়া কর্ণার কিক বিদপমুক্ত করতে গিয়ে বক্সের মধ্যে হাতে বল লাগিয়ে বসেন। ভিডিও রেফারির সাহায্য নিয়ে রেফারি পেনাল্টি উপহার দেন ফ্রান্সকে। সেট পিস থেকে গোল করতে ভুল করেননি ফ্রান্স তারকা গ্রিজম্যান।বিশ্বকাপে তিনি চার গোল করে ফেলেছেন। তার মধ্যে তিনটিই পেনাল্টি থেকে। তাতে ২-১ গোলে আবার এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ওই লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে ফ্রান্স। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে পগবার দারুণ গোলে ৩-১ গোলের লিড নেয় ফ্রান্স।
৬৫ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপ্পের গোল ম্যাচ থেকে ছিটকে দিলো ক্রোয়েশিয়াকে। বক্সের বেশ খানিক বাইরে থেকে এমবাপ্পের আত্মবিশ্বাসী শট ঠেকানোর সাধ্য ছিলো না গোলরক্ষক ড্যানিজেল সুবাসিচের।
এমবাপ্পের গোলে ৪-১ এ পিছিয়ে পড়ার আগে বেশ ভালোই লড়াই করছিলো ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচ শেষের ৪-২ গোলের ফলাফলটাও পুরোপুরি সুবিচার করছে না ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে। মাঠের খেলায় আধিপত্যও দেখিয়েছে তারাই।
মাঠে খেললো ক্রোয়েশিয়া কিন্তু ফলটা পেলো ফ্রান্স। প্রথমার্ধে পুরো মাঠে ছিলো ক্রোটদের আধিপত্য। বলের দখল রেখেছিলো প্রায় দ্বিগুণ। তবে নিজেদের পক্ষে যতটুকু খেলেছে তার চেয়ে যেনো বেশি খেলেছে ফ্রান্সের পক্ষে। প্রথমার্ধে গোল হয়েছে মোট ৩টি। ২টি গোল করার পাশাপাশি একটি গোলে অ্যাসিস্ট করেছে ক্রোটরা। তবে ফ্রান্সের জালে বল জড়িয়েছে ১ বার। ১টি গোল দিয়েছে নিজেদের জালে এবং ফ্রান্সকে একটি পেনাল্টি উপহার দিয়েছে। এভাবেই ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকে শেষ করে প্রথমার্ধ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা নিজেদের মতো করে লিখলো ফ্রান্স। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে ব্যবধান বাড়ান পল পগবা। আর বোঝার উপর শাকের আঁটি হয়ে দেখা দিলো এমবাপ্পের গোল। ৫৯ মিনিটে গোলরক্ষক হুগো ল্যরিসের অপরিপক্ব সিদ্ধান্তে ব্যবধান কমান মারিও মানজুকিচ। শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলের হার ভেঙে দিলো ক্রোয়েশিয়ার প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন।