সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত
নারায়ণগঞ্জ পাগলা ঢাকা সড়কে বালুবাহী ট্রাক চলাচলের কারণে পুরো সড়ক জুড়ে ধুলায় পথ চলা দায় হয়ে গেছে। যাত্রী ও পথচারীদের চোখ মুখ বন্ধ করে নাক ধরে পথ চলতে হচ্ছে। এতে করে মানুষ যেমন একদিকে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে অন্যদিকে নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এদিকে উড়ন্ত ধুলো মজাতে পানি ছিটানোর নিয়ম থাকলেও তা করে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের আশপাশের দোকান ঘরবাড়ী ও গাছপালা ধূলার আস্তরণে বিবর্ণ হয়ে গেছে। সড়কজুড়ে অসংখ্যা ছোট বড় গর্ত। যানবাহন যাওয়ার সময় ধূলাবালু উড়ার কারণে কিছুই দেখা যায়না।
প্রতিনিয়ত বালুর মধ্যদিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে তাদের। বালুর ধূলার সাথে এ যেন নিত্য বসবাস। সড়কের আশপাশের অসংখ্য দোকান ও বাড়িগুলোর অবস্থা একেবারে নাজুক। এছাড়া রাস্তায় বের হলেই বালুর মুখোমুখি হতে হচ্ছে যাত্রীদের। এলাকাগুলোতেও ধুলায় নাকাল অবস্থা। দেখা মিলেছে পথচারীদের নাক চেপে চলাচলের দৃশ্য। অনেকেই আবার মাস্ক পরে চলাফেরা করছেন। সড়কের মধ্যে চলাচলরত সকল যানবাহন ধীরগতিতে চলাচল করায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। ধূলায় শরীরের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে সেই সাথে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে।
সড়কে চলাচলরত যাত্রীরা জানায়, প্রতিদিনই ধূলা-বালির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হয় তাদের। যে কারণে মাস্ক ব্যবহার করে চলাচল করতে হচ্ছে। এই রাস্তায় যে পরিমাণ ধূলা এতে করে চলাচল করা কঠিন। যদি সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ নিয়মিত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করতেন তাহলে হয়তো আমাদের এ দূর্ভোগ পোহাতে হতো না।
ধুলা-বালিতে অতিষ্ঠ হওয়া এলাকাগুলোর বাসিন্দা ও পথচারীদের দাবি, এই ধুলা-বালির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ সু-ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। গাড়ি চালকরা বলেন, পেটের দায়ে গাড়ি চালাই, তাই কিছুই করার নাই। ধুলোবালির মধ্যে দিয়েই আমাদের প্রতিদিন গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তাদের দাবি, প্রতিদিন অন্তত দু’বার পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হলে আমরা কিছু রক্ষা পাবো। স্থানীয়রা জানান, অতীতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে সড়কে পানি ছিটানো হতো। এতে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ থেকে রক্ষ পেতো মানুষ।
এ বিষয়ে জানতে দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকা অফিস থেকে মুঠোফোন করা হয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আলীওল হোসেনকে। তিনি বলেন, আমিতো নতুন এসেছি। নারায়ণগঞ্জ পাগলা ঢাকা সড়কটা আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। পরে জানতে পারলে জানাবো।