আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যেকোনো দিন এ টি এম আজহারুলের আপিলের রায়

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। যে কোনো দিন তার আপিলের ওপর রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ বুধবার শুনানি গ্রহণ শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

আদালতে আজহারুলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, শুনানি শেষে এটিএম আজহারুল ইসলামের আপিলটি প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ ভবিষ্যতে রায়ের জন্য রেখেছেন। আমি শুনানিতে বলেছি ট্রাইব্যুনাল বিচার-বিশ্লেষণ করেই মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিলেন। তাই ট্রাইব্যুনালের সে সাজায় হস্তক্ষেপের কোনো কারণ নেই। আমি আশা করি ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়টিই আপিল বিভাগ বহাল রাখবেন।

আপিল দায়েরের পর আজহারুলের আইনজীবী শিশির মুহাম্মদ মনির সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আপিলে আমরা প্রত্যেকটি অভিযোগ চ্যালেঞ্জ করেছি। তিনি কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। এ মামলায় সাক্ষীদের পরস্পর বিরোধী বক্তব্য আজহারুল ইসলামকে নির্দোষ প্রমাণ করে।’

প্রসঙ্গত  ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে এক হাজার ২৫৬ জনকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শতশত বাড়ি-ঘর লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে ৫টি এবং পরিকল্পনা-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটি (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার। ১৮ জুন আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ