নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেন হত্যা মামলার আসামী সন্ত্রাসী কামাল হোসেনকে বাঁচাতে তার অনুসারী ছাত্রলীগের একটি অংশ উঠে পড়ে লেগেছে। কামাল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। মামলা করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছে বাদী ফারজানা বেগম। তবে, ফারজানা বেগমের একটাই কথা স্বামী হত্যাকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা।
কামাল বাহিনীর নিয়ন্ত্রক হাফিজুর রহমান সজিবের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শুক্রবার বিকেলে হাবিবনগড় এলাকার কাঞ্চন-কুড়িল বিশ^রোড ৩০০ ফুট সড়কে মানববন্ধন করে। হত্যা মামলার আসামী কামালকে বাঁচানোর জন্যে আয়োজিত মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে আয়োজকদের নিয়ে এলাকায় সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী ফারজানা বেগম জানান, উপজেলার ভুলতা তাঁত বাজারে তার স্বামী জাকির হোসেনকে কাঁচামালের ব্যবসা থেকে সরাতে না পেরে হত্যার হুমকি দিয়েছিলো বলাইখা এলাকার সন্ত্রাসী কামাল হোসেন, তার সহযোগী বাবু, শাহিনসহ তাদের লোকজন। এ ব্যপারে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে তাদের বিরুদ্ধে গত ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর রূপগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন জাকির হোসেন। হুমকির দের মাস পর জাকিরকে কুপিয়ে হত্যা করে তারা। নিহতের পরিবারের দাবি হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
নিহত জাকির হোসেন উপজেলার ভুলতার ইউনিয়নের মর্তুজাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। জাকির হোসেন স্ত্রী ফারজানা বেগম, ছেলে এখলাছ ও মেয়ে ইলমাকে নিয়ে শিংলাবো এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। গত ৩১ জানুয়ারী সকাল সোয়া ৭টার দিকে গলায়, পিঠে, কাঁধ, হাতের কব্জিসহ শরীরের নয়টি অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করে যুবলীগ কর্মী জাকির হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শাহিন ও বাবু নামে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া গ্রেফতারকৃতরা হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেছেন। কামালসহ বাকি আসামীরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাকি আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানিয়েছেন, কামাল, বাবু ও শাহিনসহ তার সহযোগীরা এলাকায় মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, ডাকাতি, ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তাদের অত্যাচারে বলাইখা, আউখাব, গোলাকান্দাইলসহ আশ-পাশের এলাকার শিল্প-কারখানার শ্রমিক অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। মাস শেষে বেতন-ভাতা নিয়ে ফিরতে পারেনা শ্রমিকরা। প্রতিবাদ করতে গেলেই ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হতে হয় প্রতিবাদীদের।