আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী ।

প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত, প্রতিক্ষণে যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী ।রাজধানীর প্রতিটি রাস্তাতে যানজটে আটকে থাকে নগরবাসী ।প্রায় দুই কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত ঢাকা শহরে রাস্তার তুলনায় যানবাহন অনেক বেশি। সে কারণে যানজটও এই শহরে যন্ত্রণার নাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকা যেন এখন ঢাকা শহরের নিত্যদিনের বাস্তবতা। যানজট নিরসনে সরকারের প্রচেষ্টার কমতি নেই। গত সাত বছরে রাজধানীতে কয়েকটি উড়াল সড়ক ও ওভারপাসের কাজ শেষ হয়েছে। অনেক স্থানের ফুটপাথ দখলমুক্ত করা হয়েছে। নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের আংশিক খুলে দেয়া হয়েছে। চালু হয়েছে হাতিরঝিল প্রকল্পও। বাস্তবতা হলো এত কিছুর পরও যানজট কমেনি। গত পাঁচ বছরে রাজধানীতে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি যানবাহন। পরিসংখ্যান মতে, প্রতিদিন গড়ে ৩১৭ নতুন যান নগরীর রাস্তায় নামছে। সব মিলিয়ে দিন দিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে নগরীর যানজট সমস্যা। যানজটের কারণে দিনে আর্থিক ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা। মাসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় নয় হাজার কোটি টাকা। বিশ্বের অন্য কোন দেশে যানজটের জন্য এত বিপুল অর্থের অপচয় হয় না। শুধু তাই নয়, এ কারণে মহানগরীর ৭৩ ভাগ মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিও হচ্ছে। এসব বিবেচনায় দ্রুত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ না নিলে আগামীতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে বাধ্য। বিশেষ করে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা এবং বিকেল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত। স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও এই সময়সূচীটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই সময়টায় ব্যক্তিগত গাড়িরও ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। ফলে যানজট অনিবার্য। এই সময়টাকে সামনে রেখে যথাযথ কোন পদক্ষেপ নেয়া গেলে যানজটের যন্ত্রণা থেকে কিছুটা মুক্তি মিলবে বলে অনেকের ধারণা। এছাড়া নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মিনি ফ্লাইওভার তৈরি করা ,যার মাধ্যমে গাড়ি দ্রুত বিনা বাধায় অতিক্রম করতে পারে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গণপরিবহন উন্নত করা , যাতে সাধারণ মানুষ ব্যাক্তিগত গাড়ি ক্রয়ে ইচ্ছুক না হয়।রাজধানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পার্কিং এর ব্যাবস্থা করা এবং অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা।তাছাড়া রাজধানীর ১৭ টি পয়েন্টে রেলক্রসিং রয়েছে যা নগরীতে তিব্র যানজটের সৃষ্টি করে । তাই অতিসত্বর এই রেল ক্রসিং এ ফ্লাইওবার নির্মাণ করা। সর্বপরি সাধারণ মানুষ ও সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক সংস্থা এক সাথে দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা না করলে অদূর ভবিষৎতে রাজধানী শহর ঢাকা বসবাসের অনুপোযোগি হয়ে উঠবে।তাই সময় থাকতেই এই শহরকে সুন্দর করে গড়ে তোলা আমাদের সকলের দায়িত্ব।

নির্বাহী সম্পাদক – মোঃ মুন্না খান

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ