আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ময়লা পূর্বের জায়গাতেই ফিরছে!

ময়লা পূর্বের জায়গাতেই ফিরেছে

ময়লা পূর্বের জায়গাতেই ফিরেছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশন মান অভিমানের পালা শেষে নগরের ময়লা তার পূরনো জায়গায় ফিরেছে। আপাতত স্বস্তির ঢেঁকুর তুলেছে ময়লা রাজনীতি সংশ্লিষ্ট এক পক্ষ। তবে এই ময়লা বেশি দিন এই যায়গা থাকবেনা বলেও জানালেন সিটি কর্মকর্তারা। সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হিরণ জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা স্বাপেক্ষেই আগের জায়গাতে ময়লা ফেলার সিন্ধান্ত নিয়েছে সিটি কর্তৃপক্ষ।
চার দিনের নানা নাটকীয়তা ও ময়লা নিয়ে পূরনো রাজনীতির খেলা চলার পর পূনরায় আগের জায়গাতেই ময়লা ফেলছে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন। পূর্বের প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী শুক্রবার (১ জুন) সকাল থেকে জালকুড়ির ডাম্পিং স্পটেই শহরের ময়লা ফেলছে সিটি কর্পোরেশন।
গত কয়েকদিন ময়লা নেয়া বন্ধ থাকলেও শুক্রবার সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা বাসা, বাড়ি থেকে ময়লা নিচ্ছে এবং সে ময়লা পূর্বের মতো গাড়িতে করে নিয়ে জালকুড়ির ডাম্পিং স্পটে ফেলা হচ্ছে।
সিটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখানে ময়লা ফেলা হবে সাময়িক সময়ের জন্য। ময়লা ফেলার জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে ১৮ নং ওয়ার্ডের শহীদ নগরে একটি স্থান ঠিক করা হয়েছে। তবে সে জায়গা ময়লা ফেলার উপযোগী করে তোলার আগ পর্যন্ত আগের স্থানেই ময়লা ফেলবে সিটি কর্পোরেশন।
এ বিষয়ে নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হিরণ জানান, শহীদ নগরে ময়লার ডাম্পিং ষ্টেশন করার জন্য একটি স্থান ঠিক করা হয়েছে। কিন্তু সেটা এখনো ময়লা ফেলার জন্য উপযোগী না। ময়লা ফেলার উপযোগী করে তোলার আগ পর্যন্ত আগের স্থানে জালকুড়িতেই ময়লা ফেলা হবে এবং সকাল থেকে সেখানেই ফেলা হচ্ছে। এ বিষয়ে ডিসি মহাদয়ের সাথে আলোচনা করার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এফ এম এহতেশামূল হক বলেন, আমরা সিটি কর্পোরেশনের একটি জায়গা দেখে এসেছি ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ নগরে। সেখানেই ময়লা ফেলা হবে। তবে আপাতত জালকুড়িতেই ময়লা ফেলা হবে।
প্রসঙ্গত, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে সদর উপজেলা অফিসারের নেতৃত্বে জালকুড়িতে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেয়া হয়। ময়লা ফেলার জায়গা না পেয়ে ২৭ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৪দিন শহরের বাসা বাড়ি থেকে ময়লা তোলা বন্ধ রেখেছিল সিটি কর্পোরেশন। ৪দিন পর গত ৩১ মে থেকে ময়লা তোলা শুরু করে নাসিক। সে ময়লা চাঁদমারী এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন জায়গায় ফেলতে গেলে এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করে। অন্যদিকে কাশিপুর ইউনিয়নের এক খাস জমিতে ফেলতে গেলেও ইউপি চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল সেখানে ময়লা ফেলতে বাঁধা দেয়। এসময় সাইফুল্লাহ বাদল নাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বিভিন্নভাবে শাঁসান বলেও অভিযোগ রয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১ জুন) ইউনিয়নের কোন গাড়ি সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না নাসিক। এদিকে ময়লা ফেলার কোন জায়গা না পাওয়াতে বৃহস্পতিবার (৩১ মে) রাতে জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে ৪টি ময়লার গাড়ি রেখে দিয়েছিল নাসিক। পরে শুক্রবার সকালে সেই ময়লার ট্রাক সরিয়ে নেয় নাসিক।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ