আজ শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মৌলভীবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত,বেচে গেলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী,

মৌলভীবাজারে ট্রেনের লাইনচ্যুত

মৌলভীবাজারে ট্রেন লাইনচ্যুত,বেচে গেলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী, মৌলভীবাজারে ট্রেনের লাইনচ্যুত

অনলাইন ডেস্ক:

মৌলভীবাজারের সাতগাঁও রেলস্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে তাঁর কিছু হয়নি। তিনি নিরাপদে ঢাকায় ফিরেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনের ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ ঘটনার পর থেকে সিলেটের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

শুক্রবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশেকুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান উপবন এক্সপ্রেসের একটি কামরায় ছিলেন। তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। প্রতিমন্ত্রী নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট পর্যন্ত আসেন। পরে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে ট্রেনে করে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।’

সাতগাঁও স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। পরে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী নিজের প্রাইভেটকারের চালককে ডেকে পাঠান। পুলিশ প্রতিমন্ত্রীকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মিরপুর এলাকায় নিয়ে তুলে দেয় এবং শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত এগিয়ে দেয় বলে জানান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও।

রেলওয়ের সিলেট বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান  শুক্রবার সকালে  বলেন, ‘গতকাল দিবাগত রাত ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন ছেড়ে সাতগাঁও রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রমের পর ট্রেনের পুলিং রড ভেঙে ১১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। বগিগুলো রেল সড়কের পাথরে আটকে যায়। দুর্ঘটনায় রেললাইন দুমড়েমুচড়ে স্লিপারগুলো ভেঙে গেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার সকাল ৬টায় কুলাউড়া থেকে আসা রিলিফ ট্রেনটি উদ্ধারকাজ শুরু করে। যেভাবে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে বেশ কিছু সময় লাগবে,’ যোগ করেন রেল কর্মকর্তা। তবে কী পরিমাণ সময় লাগবে, তা নিশ্চিত করে না বললেও তিনি ধারণা দেন, ‘হয়তো বিকেল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।’

উপবন ট্রেনের যাত্রী আবদুল্লাহ মাহমুদ জানান, হঠাৎ করে তীব্র ঝাঁকুনি দিয়ে বগি লাইনচ্যুত হয় এবং দুলতে থাকে। এ সময় যাত্রীদের চিৎকারে এক ভীতিকর পরিস্থিতির অবতারণা হয়। স্থানীয় জনগণ এগিয়ে এসে তাঁদের সহযোগিতা করেন।

ট্রেনের আরেক যাত্রী আতিকুর রহমান বলেন, রাত ১টার দিকে বিকট শব্দ করতে করতে ট্রেন লাইনচ্যুত হতে থাকে। এ সময় এক ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়। তবে ট্রেন স্বল্প সময়ের মধ্যেই থেমে যায় এবং বগিগুলো কাত হয়ে পড়ে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ