আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয়ে লোকজ মেলা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলন

মেলা

সোনারগাঁয়ে লোকজ মেলা উপলক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনমেলা
মাজহারুল ইসলামঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগামী ১৪ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী লোকজ উৎসব ও কারুশিল্প মেলা ২০১৬ । এ উপলক্ষে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে শুক্রবার দুপুরে এক সাংবাদিক সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম উৎসবের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ। মাস ব্যাপী লোকজ উৎসব লোক ও কারুশিল্প মেলা চলবে ১৪ জানুয়ারী থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোপের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিকমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন লিয়াকত হোসেন খোকা সংসদ সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ইব্রাহীম হোসেন খান সচিব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়।

এবারের উৎসব ও মেলায় দেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬০ জন কারুশিল্পী অংশ নেবেন। তাদের জন্য রয়েছে ৩০টি স্টল। এর মধ্যে সিলেটের ও মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি,নওগাঁ ও মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি ও মুখোস, ঢাকার শাঁখাশিল্প ও মৃতশিল্প চট্রগ্রামের তালপাতার হাতপাখা, রংপুরের শতরঞ্জি,ঠাঁকুরগাঁওয়ের বাঁশের কারুশিল্প, সোনারগাঁয়ের এককাঠের হাতি ঘোড়া পুতুল কাঠের কারুশিল্প, নকশী কাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প,কুমিল্লার তামা-কাঁশা পিতলের কারুশিল্প, রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর কারুপন্য, কিশোরগঞ্জের টেরাকোটাশিল্প ও সিলেটের ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির কারুপণ্য এ মেলায় স্থান পাচ্ছে। এবার গ্রামীণ লোকজ সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম “কাঠের কারুশিল্পের প্রাচীন ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মেলবন্ধন” শিরোনামে প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে।
এবারের উৎসবে কর্মরত কারুশিল্পের কারুপণ্য উৎপাদন প্রদর্শনীর ৩০ টি স্টলসহ মোট ১৮০টি চারু ও কারু পন্যের স্টল বসবে। তার মধ্যে হস্তশিল্প ৪৫টি, পোশাক ৪৫টি, স্টেশনারি ও কসমেটিক্স ৩৪টি খাবার ও চটপটির স্টল ১৬টি ও মিষ্টির স্টল ১০টি।

এছাড়া প্রতিদিন লোকমঞ্চে অনুষ্টিত হবে লোকজ নাটক,লোক কাহিনীর যাত্রপালা, বাউল গান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারিগান, সারিগান, হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গাঁয়ে হলুদের গান,বান্দান, কমলগঞ্জের-মণিপুরী, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরীয়তি- মারফতি গান, লোকজ কবিতা ও ছড়া পাঠের আসর, পুঁথি পাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো লোকজ জীবন প্রদশৃনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন গ্রামীন খোলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন বিকালে, স্থানীয় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে গ্রামীন খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। মাসভ্যাপী লোককারুশিল্প ও লোকজ উৎসবে ফাউন্ডেশনের পরিচালক রবীন্দ্র গোগ স্থানীয় সাংবদিকদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ