আজ বুধবার, ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মালিক পক্ষের লালিত পালিত কিছু সন্ত্রাসী পুলিশ শ্রমিকদের উপর হামলা করেছে: পলাশ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওর্য়াকার্সের কার্যকরি সভাপতি আলহাজ্ব কাউসার আহম্মেদ পলাশ বলেছেন, এন আর গ্রুপের শ্রমিকরা বর্তমান সরকারের শ্রমিক মজুরী অনুযায়ী তাদের পাওনা চেয়েছিলো বলেই মালিকের কিছু গুন্ডা বাহিনী লালিত পালিত সন্ত্রাসী কিছু নামধারি পুলিশ অফিসার আমার শ্রমিকের উপর হামলা করেছে। আমার শ্রমিকের কোন অন্যায় ছিলো না। অথচ পুলিশের সহযোগীতায় মালিক পক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় আমার বোন বুলিকে জীবন দিতে হলো। আহত করা হয়েছে অর্ধশত শ্রমিককে।

বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) বিসিক শিল্পনগরীতের শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার ডিআইটি মাঠে ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওর্য়াকার্স জেলা কমিটির এর উদ্দেগ্যে শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শ্রমিক নেতা পলাশ বলেন, আমাদের দেশের বাৎসরিক শতভাগ আয়ের ৭০ ভাগ টাকা আসে এই গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। দাম্ভিকতার সাথে ফুটানী কইরা গার্মেন্টস মালিকরা বলেন সরকারকে ৭০% আয় আপনারা দেন। আমি বলতে চাই আপনারা মালিকরা পাঁচ পয়সাও অর্জন করেন না, এই আয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার শ্রমিকের। আমার শ্রমিকের ঘামের রক্তের পানি করা শ্রমের বিনিময়ে পোষাক রপ্তানি করার পর আমার দেশ অর্জন করতে পারে ৭০% রাজস্ব আয়। এই আয় দিয়ে দেশে সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী বিমান বাহিনী র‌্যাব ও পুলিশসহ সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেয়া হয়।

পলাশ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দুঃখ লাগে কার কাছে বিচার চাইবো, একদিকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি করে অন্যদিকে সরকারি নিদের্শকেই অমান্য করে গার্মেন্টস মালিকরা আমার শ্রমিকদের হত্যা করে। শ্রমিকের রক্ত পানি করা ঘামের বিনিময়ে অর্জিত আয় দিয়ে যেই পুলিশের বেতন দেয়া হয় সেই পুলিশ মালিকের সাথে আতাত করে শ্রমিকের উপর হামলা করে। আমি বলতে চাই মালিকের ওইসব পা চাটা কুকুরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, শ্রমিক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন প্রত্যেক গার্মেন্টস মালিককে ৭ তারিখের মধ্যে শ্রমিকের বেতন ভাতা পরিশোধ করতে হবে। যে সব মালিক এই নিদের্শ অমান্য করবে তাদের গ্রেপ্তার করা হোক।

তিনি জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, ইন্ডষ্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার, বিকেএমইএ ও গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, আমার শ্রমিক কোন ভাংচুর করে নাই। আগামী সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকের ন্যায্য দাবি ও ক্ষতিপূরন পরিশোধ করতে হবে। অন্যথায় পুনরায় এক সপ্তাহ পরে শ্রমিক সমাবেশ করে চাষাড়া গোলচত্বরে গিয়ে সড়ক অবরোধ করা হবে। তিনি এন আর গ্রুপের শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শনিবার থেকে কাজে যাবেন, যারা অসুস্থ্য আছেন তাদের ছুটি দেওয়া হবে। যদি মালিক পক্ষ কোন রকম তালবাহা করে আমাকে জানাবেন।

ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওর্য়াকার্স জেলা কমিটির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক কবির হোসেন রাজু, আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন পাগলা শাখার সাধারন সম্পাদক জজ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বশির মিয়া, কেন্দ্রীয় সদস্য নুর ইসলাম, ফারুক, শ্রমিক নেতা আজিজুল ও সাত্তার প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ