সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্য্যালয়ের একজন ডাক্তার যিনি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন। সেই ডাক্তারের পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ১৮ জন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু পরিবারের লোকজনের উপর নির্যাতন শুরু করে দিয়েছে ফতুল্লা থানার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়া এলাকার মানুষ। রোগীদের নিয়ে যেতে এ্যাম্বুলেন্স এলাকায় ঢুকতেও দেয়নি এলাকার মানুষরূ পীরা। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক গিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন এবং বাড়িটি লকডাউন করেন। আক্রান্ত পরিবার পরিজনের সকল দায়িত্ব নেন তিনি।
এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে ইউএনও বলেন, এই মহামারি আপনাদের জন্য শুধুমাত্র ড. শিল্পী আক্তার কাজ করছে। তিনি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছে ৩০০শয্যা খানপুর হাসপাতালে কিন্তু আপনাদের ভিতর মানবিকতা বলতে কিছু নেই। আজকে এই পরিবারের ১৮ জন সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। সেই খবর পেয়ে আপনারা তাদের সরিয়ে দিতে বলছেন এখান থেকে। পারলে এই বাসা এখান থেকে আপনারা সরিয়ে দেন। সকালে এখানে এম্বুলেন্স ঢুকতে দেন নাই। আপনাদের ভিতরে কি মানবিকতা বলতে কিছু নেই? আজ যদি আপনাদের পরিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হতো তাহলে এই ড. শিল্পী এগিয়ে আসতো। এই পরিবারের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি সিভিল সার্জনের সাথে আমার কথা হয়েছে।
যিনি করোনা রোগীদের চিকিৎসা করছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তার পরিবারের প্রতি নারায়ণগঞ্জবাসী অমানবিক! তবে পরিবারের এতোজন সদস্য আক্রান্ত হলেও ওই মেডিকেল অফিসার নিজে করোনায় আক্রান্ত হননি।