নবকুমার:
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠে নেই নারায়ণগঞ্জের ধানের শীষের প্রার্থীরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়ে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান। তাকে গত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তাছাড়া রূপগঞ্জসহ তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে কাছে পাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ ২ (আড়াইহাজার) আসনে ধানের শীর্ষের প্রার্থী হয়েছিলেন নজরুল ইসলাম আজাদ । তিনিও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আড়াইহাজারের মাঠ কাপাতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাছাড়া তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক । আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খালেদার মুক্তির জন্য আজাদ জোড়ালো ভূমিকা পালন করতে পারছে না।
নারায়ণগঞ্জ ৩ (সোনারগাঁ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম মান্নান। গত জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে তাকে জনসম্মুখে দেখা যাচ্ছে না। বর্তমানে সোনারগাঁয়ে বিএনপির অবস্থা করুণ । সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বঞ্চনার শিকার হয়ে জাতীয় পাটিতে যোগদান করছে।
নারায়ণগঞ্জ ৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে গত নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হয়েছিলেন ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের জেলা সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। জোটের নেতা হিসেবে নারায়ণগঞ্জে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য তিনি কোনো ভূমিকা রাখছেন না। তাকে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। অথচ ফতুল্লা -সিদ্ধিরগঞ্জ রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। গত নির্বাচনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শিল্পপতি শাহ আলম ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে বাদ দিয়ে তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছিলো।
নারায়ণগঞ্জ ৫ (সদর-বন্দর) আসনে বিএনপির প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ধানের শীর্ষের প্রার্থী করা হয়েছিলো সাবেক এমপি নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে । তিনি জাতীয় নির্বাচেনর পর ঘুমিয়ে পড়েছেন । তাকে খালেদার মুক্তির জন্য আন্দোলন করতে দেখা যাচ্ছে না। জোটের নেতাকর্মীরা তাকে কাছে পাচ্ছে না।
এদিকে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত নেতারা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মাঠ কাপাচ্ছে। তারা দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। রাজপথে গর্জে উঠছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এড.তৈমূর আলম খন্দকার ,নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, এড. সাখাওয়াত হোসেন, কাউন্সিলর খোরশেদ। তবে সাখাওয়াত বিএনপির মধ্যে কোন্দল সৃষ্টির মহানায়ক। তার সমর্থকরা গত বিজয় দিবসের র্যালিতে মারামারি করেছে। তা ছাড়া সাখাওয়াতের সমর্থকরা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা দিয়েছে।
তবে বিএনপি যে গত নির্বাচনে প্রার্থী দিয়ে ভুল করেছিলো তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে।