আজ সোমবার, ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মহিলাদের ইদ জামাত আয়োজন করবেন শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান বলেছেন,‘অতীতের দু’টি ঈদের জামাতের চেয়ে আগামীকাল আরো বড় ও সুন্দর হবে। আগামী রমজান মাসে মহিলাদের জন্যও ব্যবস্থা করবো। এ নিয়ে ইমামদের সাথে আলাপ করবো। আগামীবার ওসমানী স্টেডিয়াম, শামসুজ্জোহা স্টেডিয়াম, ঈদগাহ্ এবং রাস্তা; এই চারটি নিয়ে আয়োজন করবো। আলোচনার ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘পাশেই একটা মসজিদের জামাত ছিল আটটায়। এখানে নামায হবে বলে সাড়ে সাতটায় করে দিলো। এটা নিয়েও যদি রাজনীতি করে তাহলে কীভাবে হবে? আল্লাহর কাছে কীভাবে মাফ চাইবো?’

রোববার (১১ আগস্ট) দুপুরে মাসদাইরের একেএম শামসুজ্জোহা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ‘বড় জামাত অনেকই হয় কিন্তু এতো আধুনিক এরেঞ্জমেন্টে, খোলা মাঠে এ পর্যন্ত কোথাও এতো বড় জামাত হয় নাই যেখানে দেড় থেকে দুই লক্ষ মানুষ নামায পড়তে পারে। এখানে প্রায় দুই লক্ষ স্কয়ার ফিটের উপরে কেবল স্টিল স্ট্রাকচারই করেছি। এখানে একটি মদিনা ও মক্কার একটা আদল যাতে থাকে সে চেষ্টা আমরা করেছি। মানুষের যাতে মনে হয় একটা পবিত্র জায়গায় এসেছি। এখানের চতুর্দিকে কোরআন ও হাদীসের বাণী রয়েছে।’

শামীম ওসমান বলেন, ‘আমরা এটা নিজেদের উদ্যোগে করছি। নারায়ণগঞ্জের বেশ কিছু মানুষ এগিয়ে এসেছেন তারা সাহায্য করছেন। শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করেছেন। প্রথম যখন জামাতের আয়োজন করেছিলাম তখন সবাই ভয় পেয়েছিল যে, এতো বড় ঈদ জামাত হবে না। কিন্তু তখন নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ভাইয়েরা এটার প্রচার করেছিলেন। কারণ সবাই চাচ্ছিলেন যাতে ভালো একটা কিছু হোক। আমরা বিশ্বাস করি, যেখানে লক্ষ লোকের হাত ওঠে সেখানে একটি হাত আল্লাহ কবুল করবেনই।’

তিনি বলেন, ‘কিন্তু আমার একটা কষ্ট। আমি কোন সময় এমপি কিংবা জনগণ হিসেবে সিটি কর্পোরেশনের কাছে কোন আবেদন করি নাই। ঈদের দুটো মাত্র জামাত হয়। দুই জামাত করতে টোটাল খরচ দেড়-দুই কোটি টাকা লাগতে পারে। ঢাকায় যে জামাত হয় সেটাও সিটি কর্পোরেশন করে। কিন্তু এটা আমরা পারবো না কেন? আমার মনে হয়, পারা উচিত ছিল। আসলে আল্লাহর প্রতি প্রেম থাকলে এটা করা যায়।’

সিটি কর্পোরেশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে আগামীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো সম্পাদন করার জন্য আনুপাতিক হারে সিটি কর্পোরেশন যেন বরাদ্দ রাখে। আমার মনে হয় এটা ভালো। মানুষকে প্রকৃত ধর্মের দিকে যতো অনুপ্রাণিত করা যাবে ততই ভালো।’

তিনি বলেন, ‘এইযে মশার কামড়ে মানুষ মারা যাচ্ছে। এটা কিন্তু শুধু শুধু হয় না। এটা বুঝতে হয়। এটা যারা না বোঝেন তাদের একটা কথা বলতে চাই, আমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে যেতে হবে। যদি মনে করেন, এটা শামীম ওসমানের ঈদের জামাত। ওস্তাগফিরুল্লাহ! এটা আমার ঈদের জামাত না।’