আজ সোমবার, ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
নবকুমার: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ । এবার মন্ত্রীত্বের দাবীতে সোচ্চার গোটা নারায়ণগঞ্জ বাসী। স্বাধীনতার পর থেকে আওয়ামীলীগ সরকার নারায়ণগঞ্জ থেকে কোন মন্ত্রী দেয় নাই। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে উপমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে।
ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের ভ্যানগার্ড। শামীম ওসমান একজন প্রভাবশালী এমপি । তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিতর্কীত কর্মকান্ডে মন্ত্রীত্বের স্বাদ পান নাই। সারা বছর আইভী -শামীম দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। গত বছর হকার ইস্যুতে চাষাঢ়ায় শামীম ওসমান এবং আইভীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। তাতে মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী গুরুত্বর আহত হন।
নারায়ণগঞ্জ মহানগরে বর্তমান সরকারের উপমন্ত্রী সেলিনা হায়াত আইভী । সেখানে শামীম ওসমান কে মন্ত্রী করা হলে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীক না হয়ে ক্ষমতা হবে এককেন্দ্রিক। তাতে দ্বন্দ্ব সংঘাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। নারায়ণগঞ্জ মহানগরের বাইরে একাধিক হেভিওয়েট এমপি রয়েছে। তাদের কে মূল্যায়ন করলে দলের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। নারায়ণগঞ্জ ২ (আড়াইহাজার) আসনে সাবেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু এমপি হয়েছেন । তিনি তুখোড় ছাত্র নেতা ছিলেন। তিনি মন্ত্রী হতে চান। তাছাড়া বাবু বয়সে অন্য সবার চেয়ে ছোট। সে ক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন রূপগঞ্জ। জাতীয় সংসদের হেভিওয়েট আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ ১ আসন অন্যতম। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবার রূপগঞ্জ থেকে মতিন চৌধুরীকে মন্ত্রী দিয়েছে। সেই আসনে এখন প্রতিনিধিত্ব করছে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। তিনি আওয়ামীলীগের হয়ে হ্যাট্রিক করেছেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহাবীর । খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি একজন ব্যবসায়ী নেতা।তিনি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন।তিনি দেশের সেরা করদাতা। গোলাম দস্তগীর গাজী বিসিবির সাবেক পরিচালক । ক্রীড়া অঙ্গনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। প্রেমীরাও তার উপর আস্থা রাখছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর পদচারণায় বদলে গেছে রূপগঞ্জের উন্নয়ন চিত্র। আওয়ামীলীগ সরকার গত দুই মেয়াদে রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য যত গুলো প্রকল্প দিয়েছে তা সফল ভাবে বাস্তবায়ন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তার নামে নেই কোন অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ। গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জের মধ্যে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। তিনি কোন বিতর্কীত কর্মকান্ডে নিজেকে জড়ান নাই। নারায়ণগঞ্জের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে গোলাম দস্তগীর গাজীর গ্রহন যোগ্যতা রয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় কারা বন্দী শেখ হাসিনা কে মুক্তির মহানায়ক ছিলেন গোলাম দস্তগীর গাজী। নারায়ণগঞ্জে থেকে তিনি বিএনপি জামায়াতের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তুলেছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলি খেয়েছেন। নেত্রীর জন্য গোলাম দস্তগীর গাজী জেল খেটেছেন । আইভী- শামীমের পরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগে গোলাম দস্তগীর গাজীর একটা প্রভাব রয়েছে ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, আওয়মী লীগের আন্দোলন সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে অবদানসহ সকল বিষয় বিবেচনায় মন্ত্রীত্বের দাবিতে নারায়ণঞ্জের অন্য এমপিদের চেয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী এগিয়ে রয়েছেন।
তাছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গোলাম দস্তগীর গাজী কে মন্ত্রী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবী জানিয়েছে।
