আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মঞ্চ মাতালেন মমতাজ, মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে মন্ত্রী এসপি

নবকুমার: বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপহার দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ও তাবার পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী। গতকাল তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছিলো শেষ দিন । এ দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা কে দুর্নীতি মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করতে এক মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, তারাব পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগম।

গতকাল সংগীত পরিবেশন করে দর্শক মাতিয়ে তুলেছেন মমতাজ বেগম এবং মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন গোলাম দস্তগীর গাজী ,পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, তারাব পৌর সভার মেয়র হাছিনা গাজী।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রশংসা করে বলেছেন, আমার চাকরির জীবনে গোলাম দস্তগীর গাজীর মত মহত এমপি মন্ত্রী দেখি নাই। উনি একজন মুক্তিযোদ্ধা আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে মন্ত্রী সাহেব কে শ্রদ্ধা করি। গাজী সাহেবের দক্ষ নেতৃত্বে রূপগঞ্জ বদলে গেছে। যার প্রশংসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন।

পুলিশ সুপার আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জ কে যে কোন মূল্যে মাদক সন্ত্রাস মুক্ত করা হবে। নারায়ণগঞ্জের প্রত্যেকটা নেতা মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।

কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বলেন ,রূপগঞ্জে এত বড় আয়োজন দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ। যে মানুষটির উদ্যোগে আজকের আয়োজন গোলাম দস্তগীর গাজী সহ আমি রূপগঞ্জ বাসিকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এরকম অনুষ্ঠান যেন প্রতি বছর হয় সেটাই কামনা করছি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে । নারায়ণগঞ্জে কোন মাদক সন্ত্রাসীর স্থান হবে না। মাদক ব্যবসায়ীরা যে দলেরই হোক না কেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ কে মাদক মুক্ত করতে প্রশাসনের প্রতি আমার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা

ফেরদৌসী আলম নীলা, ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল ভূইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম,  অতিরিক্ত পুলিশ (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন , নুরে আলম,  আওয়ামী লীগ নেতা ফিরোজ ভূইয়া, আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান,উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন,  সিনিয় সহকারী পুলিশ সুপার (গ) সার্কেল রূপগঞ্জ মো: আফসার উদ্দিন খান , রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল শিকদার,সাধারণ সম্পাদক মাছুম ভাইয়া, প্রমুখ।

প্রসঙ্গত , গোলাম দস্তগীর গাজী বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে বর্ণিল উৎসবে রূপগঞ্জ বাসিকে মাতিয়ে তুলেছেন । বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী ও অভিনেত্রীদের মিলন মেলা বসিয়েছেন। রূপসী নিউ মডেল স্কুল মাঠে প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈশাখী মেলা জনসমুদ্রে রূপ নিয়েছে।

সংঙ্গীত পরিবেশ করে দর্শক মাতিয়ে তুলেছেন সারা বাংলার জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী মমতাজ বেগম, হৃদয় খান, নদী, লিজা,জাহিন। নৃত্য পরিবেশন করেছেন বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা পূর্ণিমা, তিশা,সিয়াম সহ অনেকে।

বাঙালি সাংস্কৃতি যখন ধ্বংসের মধ্যে তরুণ প্রজন্ম কে বাঙালি সাংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম কোন নির্বাচিত প্রতিনিধি নিজ উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর যাবত বর্ষবরণ ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করে যাচ্ছে, যা বাঙালি সাংস্কৃতির জন্য মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসবে বলে মনে করছে সাংস্কৃতিক বিশ্লেষকরা।

রূপগঞ্জ উপজেলা ঢাকার নিকটবর্তী শিল্প অঞ্চল হওয়া এখানে বিপুল পরিমাণ শ্রমজীবী মানুষ রয়েছে যাদের কাজের পাশাপাশি বিনোদনের প্রয়োজন যা স্থানীয় সাংসদের উদ্যোগে রূপগঞ্জ বাসী উপভোগ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায় স্থানীয় সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী প্রতিবছর চলচ্চিত্র শিল্পীদের নিয়ে বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করায় তরুণ প্রজন্মের বেশ আস্থা অর্জন করেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে গোলাম দস্তগীর গাজী প্রতিবছর সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের মন জয় করে যাচ্ছে । ফলে তরুণ প্রজন্মের কাছে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গতকাল রূপসী নিউ মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

মন্ত্রী মেলা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সফল ভাবে সম্পন্ন করায় নিরাপত্তার দায়িত্বরত সকল প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জানান।

জানা গেছে নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে মন্ত্রী গাজী ব্যতিত বাকি সবাই তেমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নি। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার প্রথম বছরে জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান রূপগঞ্জ বাসিকে উপহার দিয়েছেন। যুবসমাজ মাতিয়ে তুলেছেন ।

একাধিক তরুণ তরুণীর কাছে তাদের অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা বলেন,মন্ত্রী গাজীকে ধন্যবাদ প্রতিবছর এ ধরণের আয়োজন করার জন্য। আমরা তরুণ প্রজন্ম মন্ত্রী সাহেবেরে কাছে দাবি জানাচ্ছি প্রতি বছর যেন বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করা হয়।