সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলামকে উল্টো পাল্টা কথা বলার জন্য গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের শেষে মঞ্চ থেকে নামার পথে ধমক দিলেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বার নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জননেতা লিয়াকত হোসেন খোকা। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের সামনে জহিরুল চেয়ারম্যানের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে উঠে। সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
সূত্র জানায়, সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে সোনারগাঁ জনপ্রতিনিধি ঐক্য ফোরামের আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা। ফোরামের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সোনারগাঁয়ের সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরসহ হাজার হাজার সাধারন জনগনের সমাবেশ হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ‘সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার কার্যালয়ে তার সাথে দেখা করা বড়ই দুষ্কর। আমি একজন চেয়ারম্যান হয়েও তার সাথে দেখা করতে ২ থেকে ৩ ঘন্টা বাইরে বসে অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে সাধারন মানুষের কী অবস্থা হয়েছিল বিগত দিনে। তার পিএস সংসদ সদস্য থাকা অবস্থায় আমাদেরকে বলেছেন তিনি ব্যস্ত। ঘন্টার পর ঘন্টা কার্যালয়ের বাইরে বসিয়ে রেখে কষ্ট দিয়েছে। আমি সাংসদের কাছে অনুরোধ জানাই তিনি যেন আমাদের সমস্যার কথা শোনেন। আমাদের সাথে কিছু কথা বলার সুযোগ করে দেন। আমরা সাধারন মানুষ ও জনপ্রতিনিধিরা তার কাছে আর কিছুই চাই না। চাই শুধু তিনি যেন আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা শোনেন।’
সূত্র আরও জানায়, অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চের উপর সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ভড়কে যান জহির চেয়ারম্যানের উপর। তিনি চিৎকার করে চেয়ারম্যানকে গালি দিতে থাকেন। তাকে বলেন যেখানে সেখানে যেমন তেমন কথা বলা ছেড়ে দেন। ভাল হয়ে যান। আমাকে খারাপ হতে বাধ্য করবেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোনারগাঁয়ের বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, ‘আমার কী বলার আছে। এমপি সাহেবের সামনে কেউ কথা বলবে এমন সাধ্য কী কারো আছে? আমার আর কিছু বলার নাই’।