নিজস্ব প্রতিবেদক:
মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত মজুরি প্রত্যাখ্যান ও নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা ঘোষণার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) বিকালে চাষাড়া প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এমএ শাহীন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দুলাল সাহা, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, গার্মেন্ট ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক কাজী মোতাহার হোসেন, বিসিক অঞ্চলের নেতা হারুন আর রশিদ, কাঠেরপুল অঞ্চলের নেতা মোস্তাকিম ও কাঁচপুর অঞ্চলের নেতা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এসময় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ দিন লড়াইয়ের ফসল এই মজুরী কমিশন। আমরা লড়াই করেছি, জনমত গড়ে তুলেছিলাম মজুরী বোর্ড তৈরির জন্য। আমরা দাবী তুলেছি ১৬ হাজার টাকার অন্যদিকে মালিক সমিতি ৬ হাজার ৩ শ’ টাকা করার প্রস্তাবনা রাখলেন। আমরা এর ধিক্কার জানাই। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে। আমাদের দাবী যদি না মানেন তাহলে আমরা সংগ্রাম করবো। আমরা লড়াই সংগ্রাম করে শ্রমিকের অধিকার আদায় করতে জানি। আমরা মজুরী বোর্ডের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করছি। আমাদের দাবি, শ্রমিকদের মজুরী নিম্নতম ১৬ হাজার টাকা করা হোক।
এ সময় গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি এমএ শাহীন বলেন, আমাদের সংগ্রামের চাপে মজুরী কমিশন গঠিত হয়। মজুরী কমিশন ৬ মাসের মধ্যে মজুরী ঘোষণা করবে এমন বিধান থাকা সত্যেও তারা তালবাহানা করে যাচ্ছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত রেখেছি। গতকাল ১৬ জুলাই মজুরী কমিশনের ২য় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এখানেও তারা তালবাহানা করে যাচ্ছে। সরকার ও মালিক প্রতিনিধি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে আমরা তাদের ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা জানাই। শ্রমিক প্রতিনিধিও তাদের সঙ্গে যুক্ত। যেখানে শ্রমিকদের প্রাণের দাবি ১৬ হাজার টাকা নিন্মতম মজুরী সেখানে শ্রমিক প্রতিনিধি ১২ হাজার টাকা কিভাবে দাবি করেন? সে আমাদের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন নাকি মালিক পক্ষের হয়ে? সরকার এবং মালিকরা ষড়যন্ত্র করে যে মজুরী নির্ধারণ করেছেন, আমরা তা মানি না। শ্রমিকের টাকায় মালিকের ছেলেমেয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে, মালিকদের স্ত্রীরা অট্টালিকায় বসবাস করেন। অন্যদিকে শ্রমিকদের বেহাল দসা। মজুরী কমিশন যদি শ্রমিকদের জন্য সন্তোষজনক মজুরী ঘোষণা না করে তাহলে শ্রমিকরা চুপ করে থাকবে না। বর্তমান সরকার নাকি শ্রমবান্ধব সরকার। তাহলে শ্রমজীবীরা কেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কেন শ্রমিকদের দাবি বিবেচনায় আনা হচ্ছে না। এখনো সময় আছে, সামনে নির্বাচন। শ্রমিকদের দাবি মেনে না নিলে এর ফল আগন্ত নির্বাচনে পাবেন। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে কাজে ফিরে যেতে চাই। আমরা ১২ হাজার প্রস্তাবিত মজুরী মানি না। আমাদের দাবি শ্রমিকদের ১৬ হাজার টাকা নিন্মতম মজুরী ও অন্যান্য দাবি মেনে নেওয়ার হোক।