বন্দর উপজেলার কলাবাগ থেকে চিনারদী রাস্তাটি বেহাল দশা । একাধিকবার ওই এলাকার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কার্যত কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এখন ওই এলাকায় বসবাসরত মানুষের এ রাস্তাটি মরনফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছে ভোটের হিসেব নিকেশেই এ রাস্তাটির সংস্কার হচ্ছে না। কেননা,গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রফিকুল নৌকা প্রতীক ৬ হাজার ৬শ ১২ ভোট পায় আর এহসান উদ্দিন আহম্মেদ লাঙ্গল প্রতীকে ৮ হাজার ৩শ ৩৯ ভোট পায়। আর এর মধ্যে কলাবাগ কেন্দ্রে অন্যান্য কেন্দ্র অপেক্ষা কম ভোট পান। ঠিক সেই আক্রোশগত কারনেই দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তাটির সংস্কার কাজ হচ্ছেনা বলে জানান তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বন্দর ইউনিয়ন কলাবাগ টু চিনারদী রাস্তায় নানা দূর্ভোগের চিত্র। এ রাস্তাটি দিয়ে প্রায় চলাচল করে প্রায় সময়ই অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনার কবলে পড়ছে পথচারীরা। বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দকে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তাটি কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। কোন যানবাহন ওই রাস্তা দিয়ে সহজে যেতে চায়না। গেলেও বেশি ভাড়া দিতে হয় যাত্রীদের।
বন্দর কলাবাগ এলাকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক জানান, কলাবাগ টু চৌধুরীবাড়ী রাস্তাটি ভুতুরে রাস্তা। দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তির যেন অন্ত নেই। জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার বলেও কোন লাভ হয়নি। সম্ভব ভোটের হিসেব-নিকেশেই এ রাস্তাটি সংস্কার করছেনা জনপ্রতিনিধিরা। নির্বাচনের সময় এলেই তারা লোক দেখানো সংস্কার কাজে ব্যস্ত হয়ে থাকে। এমন জনপ্রতিনিধি থাকার চেয়ে না থাকাই ভাল।
এ ব্যাপারে বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিনের সাথে আলাপকালে তিনি জানান,টেন্ডার হয়ে গেছে অচিরেই বন্দর ইউনিয়নের এ রাস্তাটি সংস্কার হবে। সাংসদ সেলিম ওসমানের দেয়া বরাদ্দ অনুযায়ী এ রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের সংস্কারও উল্লেখ রয়েছে। শীঘ্রই এর সুফল আমরা পাব।