আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জ ৫ আসনে ভোটের লড়াইয়ে কমরেড সাইদ ও সেলিম ওসমান!

ভোটের লড়াইয়ে

 ভোটের লড়াইয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  সবচেয়ে আলোচিত নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। তাই আসনটি নিয়ে মানুষের কৌতহলেরও শেষ নেই। শেষ নেই হিসেব-নিকাশেরও।

রাজনৈতিক বোদ্ধাদের মতে, আসনটিতে আওয়ামীলীগ ছিলো ধরাশাই। ১৯৯১ সালের পরে ২ বার বিএনপি, ২ বার জাতীয় পার্টি নির্বাচিত হলেও মাত্র ১ বার নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামীলীগ। তাই এবারও আসনটি জোটের দখলে থাকবে বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে সদর-বন্দর ৫ আসন পায় বিএনপি। ১৯৯৬ সালে যদিও ওই আসনটি চলে যায় আওয়ামীলীগের ঘরে। তবে ২০০১ সালে পুনরায় বিএনপি নির্বাচিত হয় আসনটিতে। এরপর ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আসনটি চলে যায় জাতীয় পার্টির দখলে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্রে বলছে, এবার নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জোটের শরিক দল থেকে মনোনয়ন দিবেন দলটি। তাই প্রার্থী হিসেবে চূরান্ত করেছে ২০ দলিয় জোটের শীর্ষ নেতা ও বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের প্রধান কমরেড সাইদ আহাম্মেদকে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও স্থানীয়দের মতে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে কমরেড সাইদ আহাম্মেদের পাল্লা ভাড়ি। ২০ দলের এক মাত্র চীনপন্থী কমিউনিষ্ট পার্টি সাম্যবাদি দল। যার অংশগ্রহণে মৌলবাদী জোটটি এখন আর মৌলবাদী হিসেবে গণ্য হয় না বহির বিশ্বে।

কমরেড সাইদ বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জের বড় বাড়ির সন্তান হওয়ায় এলাকাটিতে রয়েছে তার ব্যপক জনপ্রিয়তা। বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজকে সরকারি করণের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গাড়ির সামনে শুয়ে দাবি আদায় করায় বিভিন্ন মহলে তার ব্যাপক সুনাম রয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টিও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে জাতীয় পার্টি ও সম্মিলিত জাতীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সরব হয়ে উঠছে ৫ আসনের রাজনীতি। তাই আসছে নির্বাচনেও কমরেড সাইদ আহমেদ ও সেলিম ওসমানের মাঝে এক জমজমাট ভোটের লড়াই দেখার অপেক্ষায় নগরবাসী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ