ঔষধ কোম্পানী ডাক্তাদের উপহার সমাগ্রী দিতে পারবে: সিভিল সার্জন
সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে এখন দালাল আর ঔষধ কোম্পানীর রাজত্ব চলছে। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ডাক্তারদের কমিশন বাণিজ্য ও ঔষধ কোম্পানিগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম। রোগীদের যে ধরনের সমস্যাই হোক না কেন কোনো একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করনোর জন্য বাহিরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠানো ডাক্তারদের রীতিমতো নিয়মে পরিণ হয়েছে। বিনিময়ে ওই ডাক্তার ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ আদায় করে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) সরকারি হাসপাতালে বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম দিন দিনই বেড়েই চলেছে। তাদের দৌরাত্মে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা এমনটাই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
প্রতিদিনই হাসপাতালে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় হাসপাতালের সামনে এবং ভেতরে বিভিন্ন চিকিৎসকের কক্ষের সামনে ঔষধ কোম্পানী প্রতিনিধিদের ভির লেগেই আছে। নির্দিষ্ট সময়ের বাহিরে তারা ভিজিট করে রোগীদের চিকিৎসা সেবায় বেগাত ঘটাচ্ছেন বলে জানা যায়। যখন রোগী টিকেট কেটে চিকিৎসা সেবার জন্য চিকিৎসকের কক্ষে যান তখন দেখা যায় একাধিক প্রতিনিধি ওই কক্ষের সামনে দাঁড়িয়ে ভির জমিয়ে আছেন। আবার কেউ কেউ রোগীকে অপেক্ষায় রেখে তাদের ভিজিট সেরে নিচ্ছেন। অপর দিকে কতিপয় কিছু ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জ-১০০ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তারদের রুমের বাহিরে বিভিন্ন আসভাবপত্র, ফ্যান সহ ব্যবহরিক বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
গত রবিবার (৫ মে) দৈনিক সংবাদচর্চার একটি বিশেষ অনুসন্ধানী টিম নারায়ণগঞ্জ-১০০ শয্যা হাসপাতালে গেলে আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় আর এম ও আসাদুজ্জামানের রুমের বাহিরে একদল অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা একটি নতুন ফ্যান নিয়ে বিশেষ কারো জন্য অপেক্ষা করছেন। ফ্যানের বিষয়ে জিজ্ঞেস করার আগেই তারা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করে অন্যত্র চলে যায়।
অত্র হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগীদের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, শুধু ফ্যানই দেখলেন! এই সকল ভুয়া দালালরা আরো কতকিছু নিয়ে আসে ডাক্তারদের দেওয়ার জন্য।
তবে এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. ইমতিয়াজ আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের নির্ধারিত একটি সময় সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ে বাহিরে তারা হাসপাতালে প্রবেশ কিংবা ডাক্তারদের সাথে আলোচনা করতে পারবেন না। ঔষধ কোম্পনীর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন সময় ডাক্তারদের খুশি করার জন্য অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদান করে থাকেন এই বিষয়ে জানতে চাইলে মি. ইমতিয়াজ বলেন উপহার প্রদান করার নিয়ম রয়েছে। ঔষধ কোম্পানীর লোকজন ডাক্তারদের বিভিন্ন উপহার সামগ্রী প্রদন করতে পারেন।
মি. ইমতিয়াজ দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকাকে তাঁর নিজের আশা ব্যক্ত করে বলেন, আমি যেহেতু নতুন এসেছি সেহতেু অনেক কিছুই আমার জানা নেই। তবে নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ভাইয়েরা সহযোগীতা করলে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান ভালো পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবো।