আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভাদ্রের তাল জ্যৈষ্ঠ মাসে

| সৈয়দ মোহাম্মদ রিফাত |
নারায়ণগঞ্জের বাজারে এসেছে মিষ্টি সুস্বাদু ফল তাল। মধু মাস জৈষ্ঠ্যে বাজার ভরা বিভিন্ন ধরনের ফলের সাথে তালের চাহিদাও যেনো কম নয়। রসে ভরপুর আর খেতে সুস্বাদু হওয়ায় দেশের সব শ্রেণীর মানুষের মাঝে তালও প্রিয় ফলের একটি। তবে উৎপাদন কম হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার তালের দাম একটু বেশি।
সরেজমিনে শহরের কালিরবাজার চারারগোপ, ১নং রেল গেট, চাষাঢ়া ও আশপাশের এলাকাগুলোতে দেখা গেছে সাঁজিয়ে রাখা তালের পসরা। কেউ ভ্যানে আবার কেউবা অস্থায়ী দোকানে বসে বিক্রি করছে তাল।
জানা গেছে, কালের আবর্তনে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ প্রতিটি এলাকায় তালের ফলন কম হওয়ায় প্রিয় ফলটির স্বাধ নিতে একুটু হিমশিম খাচ্ছে সব শ্রেনীর মানুষ। নারায়ণগঞ্জ উৎপন্ন হওয়া তাল মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ায় ব্যবসায়ীদেরকে দূর দূরান্ত থেকে তাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সেই সাথে বহন খরচ যোগ হচ্ছে লভ্যাংশের সাথে।
বেশ কয়েকটি তালের দোকান ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে এক পিছ তাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪৫ টাকা পর্যন্ত। যার একটি তালের শাস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে।
কালিরবাজার চারারগোপের পাইকারি তাল বিক্রেতা আবুল হাসনাত। এই তাল ব্যবসায়ী জানান, নারায়ণগঞ্জে তালের তেমন ফলন না হওয়ায় খুব কষ্ট করে দূর-দূরান্ত থেকে তাল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। আর সে কারণেই তালের দাম একটু বেশি। উৎপাদন কম, দাম বেশি এবং লাভ কম তার পরেও বিক্রয় হচ্ছে ভালো। ফলে তালের ব্যবসা মন্দ বলা যায় না। খেয়ে পরে বেঁচে থাকা যাচ্ছে।
চাষাঢ়া এলাকায় ভ্যানে করে খুচরা তাল বিক্রি করতে দেখা গেছে বেশ কয়েকজনকে। তারা জানান, একটি তাল আমাদের পাইকার থেকে কিনে আনতে হয় ১৮ থেকে ২২ টাকায়। একটি তালের মধ্যে সর্ব্বোচ্চ তিনটি শাস থেকে। তাই আমরা ১০ থেকে ১৫ টাকা দরে এক পিস তালের শাস বিক্রি করছি। এই দামের কমে বিক্রি করলে আমাদের চালান থাকবে না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের কৃষি প্রকৌশলী সাজিয়া হাসান খান সংবাদচর্চাকে জানান, জেলার রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার থেকে তাল আসে। তবে জেলার মানুষের চাহিদা পূরণের জন্য তা যথেষ্ট নয়। যার ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তাল নারায়ণগঞ্জে আনা হয়।
গত বছরের তুলনায় এবার তালের দাম বেশি রাখা হচ্ছে। তাহলে কি তালের ফলন এবার কম? এমন প্রশ্নের জবাবে সাজিয়া হাসান আরও বলেন, যেহুতু জেলার দুই তিনটি উপজেলা থেকে আসা তাল মানুষের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ। ঠিক এই কারণেই বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা জেলায় তাল এনে থাকে। দূর-দূরান্ত থেকে ফলটি আনার কারণেই এবার তালের দাম হয়তো একটু বেশি।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ