আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যর্থ সেলিম ওসমান

সংবাদচর্চা রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসনের মধ্যে আলোচিত বলা হয়ে থাকে নারায়ণগঞ্জ-৪ ও ৫ আসনকে। এই দুই আসনের নেতৃত্ব দেন প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের প্রধান দুই কর্তা। নারায়ণগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান। যার হস্তক্ষেপে যেকোন বিষয় মূহুর্তের মধ্যে পাল্টে যায়। বিকেএমইএ নির্বাচন থেকে শুরু করে, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স, জাতীয় নির্বাচন ও বন্দর উপজেলা নির্বাচন পর্যন্ত এই সাংসদের শ্রমের কোন কমতি ছিলো না। যার ন্যায় প্রত্যেকটি নির্বাচনে ছিলো সেলিম ওসমান ও তার অনুগতদের সফলতা। তবে, সবশেষ বাংলাদেশ সুতা ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ইয়ান্ট মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সেলিম ওসমানের অনুগত এম সোলায়মান নেতৃত্বধীন প্যানেল পরাজিত হয় নারায়ণগঞ্জ- ৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান অনুসারী লিটন সাহার নেতৃত্বাধীন প্যনেলের কাছে। সকল নির্বাচনে সেলিম ওসমানের সফলতা থাকলেও সবশেষে ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে ইয়ার্ণ মার্চেন্ট নির্বাচনে।

২০১৭ সালে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সেলিম ওসমান।
এরপর গত বছর ২০১৮ সালে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির দ্বি-বার্ষিক (২০১৮-২০২০) নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন সেলিম ওসমানের আস্থাভাজন খালেদ হায়দার খান কাজল। ওই নির্বাচনে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে মোরশেদ সারোয়ার সোহেল ও সহ সভাপতি পদে আমিনুর রশিদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। কোন প্রতিদ্বন্দি¦ না থাকায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় নির্বাচিত হন তারা।

একই বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে মহাজোট থেকে মনোনীত হন সেলিম ওসমান। মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে সদর-বন্দরের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সেলিম ওসমানের ব্যানার ফেস্টুনের দেখা মেলেনি। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য তিনি সর্বাতœক চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। অবশেষে বিপুল ভোটের ব্যবধানে প্রতিপক্ষ ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত এস এম আকরামকে হারিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সেলিম ওসমান।

এদিকে চলতি মাসে ৫ম ধাপে অনুষ্ঠিত হওয়া বন্দর উপজেলা নির্বাচনে নৌকার মাঝি হন বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ রশিদ। যিনি ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলেই সর্বদা পরিচিত। অবশেষে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে সেলিম ওসমানের অনুগত সানাউল্লাহ সানু ও সেলিমা আক্তার শান্তা নির্বাচিত হন।

সর্বশেষ ইয়ান্ট মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে সেলিম ওসমানের অনুগত এম সোলায়মান নেতৃত্বাধীন প্যানেল পরাজিত হয়। যার ফলে শহর জুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সব নির্বাচনে নিজে ও নিজের অনুগতদের জয়লাভ করিয়ে আনতে সক্ষম হলেও সেলিম ওসমান ব্যর্থ হয়েছেন ইয়ান্ট মার্চেন্ট নির্বাচনে।

একদিকে, সেলিম ওসমানের সফলতায় খুব সহজেই পার হয়েছেন কাজল-রশিদ অন্যদিকে ব্যর্থতায় ডুবতে হয়েছে সোলায়মানকে। আর তাই নগরবাসীর মতে, সব নির্বাচনে সফলতায় সেলিম ওসমান ব্যর্থ ইয়ান্ট মার্চেন্টে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ