আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিয়ের ৮ মাস পর সোনিয়ার গলায় ফাঁস

বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে সোনিয়া আক্তার ওরফে তামান্না (১৮) নামে এক নববধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তবে নিহত নববধূর বড় ভাইয়ের দাবি তার বোনকে মানসিক ও শাররীক ভাবে টর্চারের কারনে মনের ক্ষোভে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শুক্রবার ভোর ৭ টায় বন্দর থানার আমিরাবাদ এলাকায় এ ঘটনার পর বিকেলে আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে স্বামী ফয়সাল (২২)কে আটক করে। ।
এ ঘটনায় আতœহনকারি নববধূর বড় ভাই বিনি আমিন বাদী হয়ে ঘটনার ওই দিন সন্ধ্যায় ঘাতক স্বামী ফয়সাল ও তার পিতা আবুল হোসেন ও মা সুফিয়া বেগমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা আইনে মামলা দায়ের করেন। আত্মহননকারি নববধূ সানিয়া আক্তার তামান্না সোনারগাঁ থানার পানাম গাবতলী এলাকার শহিদুল্লাহ মিয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে।
আত্মহননকারি নববধূর বড় ভাই বিনি আমিন বন্দর প্রেসক্লাবের গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, ৮ মাস পূর্বে বন্দর থানার আমিরাবাদ এলাকার আবুল হোসেন মিয়ার ছেলে ফয়সালের সাথে সোনারগাঁ পানাম গাবতলী এলাকার মাদ্রাসা ছাত্রী সোনিয়া আক্তার তামান্নাকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ক। পরে তারা উভয়ের পরিবারের অগোচরে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে নববধূ তামান্না তার শ^শুড়বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। বিয়ের পর ফয়সাল কাজকর্ম না করার কারনে দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পরে। প্রায় সময় ফয়সাল নেশা সেবন করে যৌতুকের জন্য আমার বোনকে শাররীক ও মানোসিক ভাবে নির্যাতনসহ গালিগালাজসহ গলায় ফাঁস লাগিয়ে মরে যেতে বলে আত্মহত্যার প্ররোচনা করতো। এর ধারাবাহিকতায় ১২ জুন ভোরে রাগে ক্ষোভে আমার বোন গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শ^শুড়বাড়ী লোকজন তড়িগড়ি করে লাশ নামিয়ে ফেলে। ওই সময় আশপাশের লোকজন এসে পুলিশে সংবাদ দেয়। আমরা এলাকাবাসী দেওয়া সংবাদের প্রেক্ষিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি।
এ ব্যপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, নববধূ সোনিয়া আক্তার তামান্নার আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা মামলা দায়েরের ওই দিনেই ফয়সালকে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ