আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিস্ফোরণ স্পর্শ করেনি তাদের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

তল্লায় মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জবাসীতো বটেই গোটা দেশ শোকাহত। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে যে কেউ। এমন মর্মান্তিক ঘটনার পর সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছেন অনেকে। তবে এ শহরের বড় বড় অনেক পদবীধারী চুপ করে বসে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, দল, পদ দিয়ে সব কিছু পেলেও মানুষের দুঃখে তেমন দেখা যায় না তাদের।

৪ সেপ্টেম্বর এশা’র নামাজের সময়ে ফতুল্লার পশ্চিম তল্লার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এ ঘটনার পর  প্রধানমন্ত্রী সবাইকে এলার্ট করে দেন সুষ্ঠু তদন্ত করতে।

সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন অনেকে। এরমধ্যে জনপ্রতিনিধ যেমন রয়েছে তেমনি শিল্পপতিও আছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় অনেক পদবীধারীকে মর্মান্তিক এ ঘটনার পর কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, পরিবহন নেতা ও জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারী ইব্রাহিম চেঙ্গিস, পরিবহন নেতা মোক্তার হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগ সভাপতি মীর সোহেল আলী, সাধারণ সম্পাদক ফাইজুল ইসলাম সহ অনেকেই এ অসহায় মানুষগুলোর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেননি।

যা নিয়ে খোদ দলীয় নেতাকর্মীরাই সমালোচনা করছে। তাদের মতে, এ পদবীধারীদের মধ্যে অনেকেই শুধুমাত্র দল, পদ ভাঙ্গিয়ে টাকা কামিয়েছেন। এমনও আছেন যারা অঢেল টাকার মালিক। দল-পদ ছাড়া তাদের আলাদাভাবে চেনার উপায়ও নেই। দলীয় সূত্র জানায়, টাকা কামাই করে কেউ কেউ এখন ঢাকাবাসী। নারায়ণগঞ্জে পদ, ব্যবসা বাণিজ্য করলেও বাস করেন ঢাকায়। এ শহরের ঝঞ্জাট এড়িয়ে চলতে চান তারা। তাই যেখানে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী তল্লার বিস্ফোরণে মর্মাহত হয়েছেন সেখানে এই নেতাদের তেমন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কেউ কেউ ঘটনাস্থলে গেলেও অনেকে যাননি। নিজেদের জননেতা দাবি করলেও নেননি মানুষের মঙ্গলের জন্য কোন উদ্যোগ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ