কাতার অব্যাহতভাবে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে দেশটি। ফলে আসন্ন বিশ্বকাপে দেশটিতে ইসরায়েলের ফুটবলপ্রেমীদের আগমন প্রায় অসম্ভব বলেই ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপের সময়টাতে কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসতে যাচ্ছে কাতারি সরকার।
২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইসরায়েলকে ছাড় দিচ্ছে আয়োজক দেশ কাতার। খেলার সঙ্গে রাজনীতি না মেশানোর সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইসরায়েলিদের জন্য কাতারের দরজা খোলা রাখা হবে।
এক সাক্ষাৎকারে আয়োজক কমিটির মহাসচিব হাসান আল-থাওয়াদি এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সবাইকে স্বাগতম। আমরা খেলার সঙ্গে রাজনীতির মিশ্রণ চাই না। তবে আমরা আশা করি, ফিলিস্তিনিরাও এখানে আসবে।’
তবে বিশ্বকাপ উপলক্ষে ইসরায়েলের দর্শকদের জন্য ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করা হবে। তবে এমন ঘোষণা সত্ত্বেও ফিফা’র নীতিমালা (যেখানে যেকোনো বৈষম্যমূলক আচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে) কাতার মেনে চলবে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে শীর্ষ ব্রিটিশ পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘কর্নারস্টোন গ্লোবাল অ্যাসোসিয়েটস’।
রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক এবং ধর্মীয় কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই খারাপ। মূলত ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং সহানুভূতির কারণে ইসরায়েলের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আরবরা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলানোর পথে হাঁটছে। মিশর ও জর্ডানের সঙ্গে ইসরায়েলের শান্তিচুক্তিও আছে। কিন্তু কাতার এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। দেশটি এখনও কাতারকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।