আজ শুক্রবার, ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্টস চালু

সংবাদচর্চা রিপোর্ট
নির্দেশ ছিলো শুধুমাত্র নিটিং, ডাইয়িং ও গার্মেন্টের স্যাম্পল সেকশন শুরু করার কথা। তবে তা মানেনি অনেক গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ। গতকাল সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অনেক গার্মেন্ট চালু করা হয়েছে। যদিও মালিকপক্ষের দাবি, করোনা রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ সব ধরনের নিয়ম কানুন মেনেই তারা কারখানা চালু করেছে।
এর আগে সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাথে আলাপ করে বিকেএমইএ ও বিজিএমএ সিদ্ধান্ত নেয় সীমিত পরিসরে গার্মেন্ট সংশ্লিষ্ট ডাইয়িং কারখানা, নিটিং ফ্যাক্টরী চালু করার। সেই সাথে গার্মেন্টের সেম্পল সেকশনও। শনিবার এমন সিদ্ধান্তের পর রোববার সকালেই নারায়ণগঞ্জের পথে গার্মেন্ট শ্রমিকদের চলাচল দেখা যায়। এ নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা একেকজন একেক রকম কথা বলেন। নাজমা বেগম নামের এক শ্রমিক জানান, তিনি কারখানার সুপারভাইজারের ফোন কল পেয়েছেন। তাকে গার্মেন্টে যেতে বলা হয়েছে তবে কেন তা তিনি জানেন না। আরেকজন শ্রমিক জানান, তার বেতন পাওনা রয়েছে এ কারনে তিনি ফ্যাক্টরীতে যাচ্ছেন। যদিও আশপাশে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন এলাকায় গার্মেন্ট খুলে দেয়া হয়েছে।
একাধিক শিল্প মালিক জানান, তারা লোকসান মেনেও করোনা ভাইরাস রোধে সরকারের সব নিয়ম কানুন মেনে চলছেন। তবে ২ মে থেকে গার্মেন্ট চালু করার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি থাকতে হবে। কারখানায় শ্রমিকরা গিয়ে যেন কাজ করতে পারে এজন্য নিটিং থেকে কাপড় বুনন ও রঙ করতে হবে। এ কারনেই আগেভাগে ডাইয়িং ও নিটিং কারখানা চালু করা হয়েছে। সেই সাথে সীমিত পরিসরে সেম্পল সেকশনও চালু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিকেএমইএ’র ১ম সহ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, সরকারের নির্দেশক্রমে বিকেএমইএ ও বিজেএমই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে রোববার (আজ) থেকে নিটিং ও ডায়িং কারখানা চালু করার। সেই সাথে গার্মেন্টের সেম্পল সেকশন সীমিত আকারে শুরু করার সিদ্ধান্তও হয়েছে। আর কাটিং এবং সুইং সেকশন চালু হবে ২ মে থেকে।
এদিকে শহরের রাসেল গার্মেন্টের এজিএম (এইচআর এডমিন) মো. জসীম জানান, গার্মেন্ট চালু করা হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনেই কাজ চলছে। এছাড়া করোনা সংক্রমন রোধে যা যা করণীয় তার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। মাত্র ২০ ভাগ শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা দাবি করেন, এতে শ্রমিকদের জটলা হওয়ার কোন আশংকা নেই।
তবে সচেতন মহল ও সাধারণ মানুষের মাঝে গার্মেন্ট চালু নিয়ে এক প্রকার আতংক কাজ করছে। তাদের মতে, আবার হুট করে অসংখ্য শ্রমিক জড়ো হলে করোনা সংক্রমন রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ