আজ শুক্রবার, ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিদায়ে কাদলেন তিনি, কাদালেন সবাইকে

বিশেষ প্রতিবেদক
আনুষ্ঠানিক ভাবে বিদায় নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের সিংহাম খ্যাত পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদ। নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইনস্ এ এক বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এসপি হারুনের নারায়ণগঞ্জের কর্মজীবন সমাপ্ত হলো। বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ নিয়ে নিজের অনুভতির কথা বলতে গিয়ে কেদে দেন হারুন অর রশীদ। তার কান্না বিজড়িত কণ্ঠে স্বরে পুলিশ লাইনসের হল রুমে নেমে আসে নিরবতা। বিদায়ের সময় এসপি হারুন নিজে কাদলেন এবং অন্যদেরও কাদালেন।

৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইস পুলিশের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশীদকে বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হয়দার খান কাজল।

পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ তার শেষ বক্তব্যে বলেন, আমি নারায়ণগঞ্জে কোন অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দেই নি। আমি যখনি কোন অপরাধী ধরেছি এই নারায়ণগঞ্জের কোন জনপ্রতিনিধি কিংবা সংসদ সদস্যরা সেই আসামী ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য কোন প্রকার তৎবিরও করেনি। তিনি বলেন, সরকারি চাকুরীতে বদলি একটি নিয়মিত বিষয়। যারা সরকারি চাকরী করেন তারা বিষয়টি খুব ভালো করেই জানে। আমার সহকর্মীর উপর অন্যায় হবে সেটা আমি মেনে নিতে পারি নি। আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষের জন্য যতটা করি ঠিক ততটা আমার সহকর্মীদের জন্য করে থাকি। পুলিশের চাকরিটাই এমন। যখন কাউনে পুলিশ ন্যায় পাইয়ে দিবে তখন তার কাছে অত্যন্ত আস্থাভাজন হবে এবং অপর পক্ষের কাছে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হবে। এটাই নিয়ম এবং এটাই সত্য। দুই পক্ষের মধ্যে এক পক্ষের সাথে কাজ করতে গেলেই অন্যপক্ষ বিষয়টি অন্য ভাবে নিবে। তবে পুলিশের বিরুদ্ধে এটা একটা কমন অভিযোগ যে, পুলিশ টাকা চেয়েছে দেই নি তাই আমার হয়ে পুলিশ কাজ করে নি। তিনি নারায়ণগঞ্জের গনমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমি এর পূর্বে বিভিন্ন জেলায় কাজ করেছি। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক ও গনমাধ্যমে আমাকে যে পরিমাণ সহযোগিতা করে তা আমি অন্য কোথাও পাইনি। এর জন্য তিনি সাংবাদিকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।