আজ সোমবার, ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ভট্টাচার্যসহ ও কতিপয় কর্মকর্তাদের সীমাহীন অনিয়ম, স্বেচ্ছেচারিতা, স্বজনপ্রীতি, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র দর্শকশ্রোতা শূন্য সম্প্রচার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এতে অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনিয়মের ফলে সংস্কৃতিবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকারের সুনাম ও ভাবমুর্তি নষ্ট হতে চলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান কাটার নির্লজ্জ দু:সাহস দেখিয়েছে এসব অদক্ষ কর্মকর্তারা। অবিলম্বে এসব অদক্ষ কর্মকর্তাদের দ্রুত অপসারণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে সংস্কৃতিবান্ধব গণমাধ্যম কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের কতিপয় অদক্ষ কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সাংস্কৃতিক কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে বক্তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে বিএনপির প্রেতাত্মা নুরুল আজম পবনকে অপসারণ করায় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সর্বস্তরের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গান কেটে জাতির পিতাকে অবমাননা করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের আশ্রয় ও প্রশ্রয়দাতা জিএম নিতাই কুমার ভট্টাচার্য্যসহ অপরাধ সিন্ডিকেটকে অবিলম্বে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে দ্রুত অপসারণ করে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বজনপ্রীতি থেকে মুক্ত করার দাবী জানান।
আজ ৫ মার্চ মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সর্বস্তরের শিল্পী ও সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগে বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন লেখক সাংবাদিক স ম জিয়াউর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমাজ সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা বোধিপাল বড়–য়া। এসময় সংহতি প্রকাশ করে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠক ও লেখক মো: জামাল উদ্দিন, সাংবাদিক মো: কামাল হোসেন, কবি শবনম ফেরদৌসি, শিল্পী লাকী আক্তার, কবি সানজিদা আক্তার, সংগঠক অনুপম বড়–য়া, আবৃত্তি শিল্পী নিরুপমা বড়–য়া, সাধন চন্দ্র দেবনাথ, সাংবাদিক সমীরণ পাল, সংগীত শিল্পী আনন্দ প্রকৃতি, নৃত্য শিল্পী চৈতি রাণী পাল, সাংবাদিক কুতুব উদ্দিন রাজু, ডা: মো: নাছির উদ্দিন, ডা: মো: হারুনুর রশিদ, ডা: মিলন বারিকদার, সংগঠক এসএম নূরুল হুদা, শিল্পী শিরিন সুলতানা প্রমুখ।