আজ রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে:বিএনপি

বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ

বিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ রয়েছে:বিএনপিবিচার বিভাগে সরকারের হস্তক্ষেপ

সংবাদচর্চা ডটকম:

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভাষ্য, ‘খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে যা ঘটেছে, বাংলাদেশে এমন কিছু দেখবো বা শুনবো তা কোনোদিন ভাবিনি। খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের রায় আপিল বিভাগ স্থগিত করে সবাইকে বিস্মিত করেছে। উচ্চ আদালত থেকে দেশের মানুষ যা প্রত্যাশা করে না, সেটাই আজ ঘটেছে।’

ব্যারিস্টার মওদুদের কথায়, আদালত কখনোই বিচারপ্রার্থী জনগণের প্রতিপক্ষ হতে পারে না। দেশের সুবিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের।

এই আইনজীবীর ভাষ্য, ‘নিম্ন আদালত এখন পুরোপুরিভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে। সেভাবেই তারা আইন করে নিয়েছেন। আগে প্রধান বিচারপতির ওপর যে দায়িত্ব ছিল, তা এখন চলে গেছে রাষ্ট্রপতি ও আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে। আমরা দেখছি— বিভিন্ন আদালতে একটা মামলা শেষে জামিন পেলে আরেকটি মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো সম্পূর্ণ বেআইনি। সুপ্রিম কোর্ট এটা বলে দিয়েছেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে কর্মকর্তা ও বিচারপতিরা তবুও তা করছেন। কারণ এসব কর্মকর্তা ও বিচারপতির দায়-দায়িত্ব এখন নির্বাহী বিভাগের কাছে।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বলেছেন, মানুষের শেষ ভরসাস্থল বিচার বিভাগের বিভিন্ন সিদ্ধান্তে দুর্ভাগ্যভাবে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন হচ্ছে। তার অভিযোগ, ‘নিম্ন আদালতকে পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছে সরকার। বিচার বিভাগের ওপর চড়াও হয়েছে তারা। বিচার বিভাগকে দলীয়করণের জন্য সুপারসিট করে জুনিয়রদের প্রধান বিচারপতি করছেন।’ বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুরে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘আমার ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, পাঁচ বছরের সাজার ক্ষেত্রে আপিল গ্রহণের সময় জামিন দেওয়া হয়। আদালতের কাছে সরকারের একটি বক্তব্য থাকে, সাজাপ্রাপ্তের বিচারিক আদালতে জামিনে ছিল কিনা, পালিয়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা রয়েছে কিনা ও মামলাটি কতটা গ্রহণযোগ্য। আমার মনে হয়েছে, খালেদা জিয়ার মামলাটি বিবেচনা করা হচ্ছে রাজনৈতিকভাবে। হাইকোর্ট তাকে জামিন দেওয়ার পরও আপিল বিভাগের স্থগিত করা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

ব্যারিস্টার খন্দকার মাহবুবের ভাষ্য, “আমাদের মনে হচ্ছে, আদালতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটছে। কারণ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা চলাকালীন বর্তমান সরকার প্রধান বলেছেন, ‘এতিমের টাকা চুরি হয়েছে।’ অথচ আদালতে আমরা দেখিয়েছি, যে টাকা ট্রাস্ট্রের নামে এসেছে তা এখন তিন গুণের বেশি রয়েছে। সুতরাং টাকা আত্মসাৎ হয়নি। আর খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে আত্মসাতে সহযোগিতার জন্য।”

 

 

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ