আজ শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাম নেতাদের প্রতি ক্ষুব্ধ মানুষ

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :

নগরীতে বেশ কয়েকদিন যাবত ফুটপাতের অবৈধ দখলদার হকার উচ্ছেদ ইস্যুতে সরগরম। তাদের পক্ষ নিয়ে পূনর্বাসনের দাবিতে একাত্মা হয়ে মাঠে নেমেছেন বাম নেতারাও। যদিও এসব বাম নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শ্রমিকদের পক্ষে আন্দোলনে নেমে তাদের কাছ থেকে একশ দুইশো করে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ বেশ পুরনো। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো একাধিকবার। তবে খালি চোখে এখানে শুধু ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের বিষয়টি স্পষ্টভাবে দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে রয়েছে আরো অনেক রহস্য। সেই রহস্যের অন্তরালে থাকা মানুষগুলোই হকারদের পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে আন্দোলনে রসদ জোগাচ্ছে বলে মনে করছেন নগরবাসী।
ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট বসিয়ে শুধুমাত্র নগরবাসীকে হাটা চলায় প্রতিবন্ধতা সৃষ্টি করা হচ্ছে বিষয়টি এতোটা সাধারণ নয়। অনুসন্ধানে জানাগেছে, এই সকল হকারদের কেন্দ্র করে আরও অনেকের ব্যবসা পরিচালিত হয়ে থাকে। ফুটপাত দখলের পাশাপাশি হকারদের কারণে নোংরা হয় শহর। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থাও বিকল হয়। যার ফলে সামান্য বৃষ্টিতে নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার পেছনে এই হকারদেরও ভূমিকা রয়েছে।
জানা গেছে, ফুটপাতে যেসব দোকান বসে সেই সকল দোকানগুলো রাতে বাতির প্রয়োজন হয়। অনেকেই বিদ্যুৎ লাইন চুরি করে ব্যবহার করে। কিন্তু বিদ্যুৎ চলে গেলে আলোর প্রয়োজনে তারা জেনারেটর লাইন ব্যবহার করে। হকারদের উপর ভিত্তি করে স্থানীয় জেনারেটর ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চাঙ্গা থাকে।
এছাড়াও বর্তমানে অনেকে জেনারেটর লাইন না দিয়ে ব্যাটারী দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে। সেই ব্যাটারী আবার মাসিক হিসেবে ভাড়া দিয়ে থাকে কেউ কেউ। এসব ব্যাটারী চার্জ করতেও টাকা খরচ হয়। এছাড়াও ফুটপাতের প্রতি দোকান থেকে চাঁদার হিসেব তো রয়েছেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাই এসব ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদার ভাগ নিয়ে থাকে বলেও বিভিন্ন সময় আলোচনায় এসেছে।
অন্যদিকে ফুটপাতের এসব দোকানের জায়গাও বিক্রি হয়ে থাকে বলে শোনা গেছে। কেউ নতুন করে দোকান নিতে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পজিশন বায়না দিতে হয়। আবার কেউ দোকান ছেড়ে গেলে নতুন কেউ আসলে তাকেও নতুন করে পজিশন বায়নার টাকা দিতে হয়। হকার নেতাদের মাধ্যমেই এসব কর্মকান্ড সম্পন্ন করা হয়।
অপরদিকে ফুটপাতে এসব হকাররা সারাদিন দোকানদারি করে দিনের যে ময়লা আবর্জনা হয় তা রাস্তাতেই ফেলে রাখে। সকালে সিটি করপোরেশনের লোকজন তা পরিস্কার করে। কিন্তু রাতভর সেগুলো রাস্তাতেই থাকে। যার মধ্যে অধিকাংশ ময়লাই রাস্তার ড্রেনের ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে ড্রেনের ভেতরে চলে যায়। যার ফলে ড্রেনের মুখ জ্যাম হয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয়। ফলশ্রুতিতে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে থাকে। ফুটপাত এমন অবৈধদখলদার হকারমুক্ত থাকলে নগরী অনেক দিক থেকে পরিচ্ছন্ন থাকবে বলে মনে করেন সচেতন মহল ও সাধারণ নগরবাসী।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ