বন্দর প্রতিনিধি:
স্বামীর অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে মৃত্যুর পথ বেঁছে নিয়েছেন বর্ষা (২৫) নামের এক গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্বামীর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ধার নিয়ে ছিলেন গৃহবধূ বর্ষার পিতা। ওই টাকা পিতা ফেরত দিতে না পারায় গৃহবধূ বর্ষা’র ওপর প্রতিনিয়ত অমানষিক নির্যাতন চালাতেন পাষন্ড স্বামী মনিরুজ্জামান। ঘটনার পর থেকে বাড়িঘর তালা বন্ধ করে স্বামী শশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলা ধামগড় ইউপি জাঙ্গাল গ্রামের মৃত আহসানউল্লাহর ছেলে মরিুজ্জামান ৭ বছর আগে সোনারগাঁ থানার ইমানেরকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে বর্ষা সঙ্গে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের ৭ বছর সংসার জীবনে দুই সন্তান জন্ম হয়। এক ছেলে আলীম (৬) ও এক কন্যা নুসরাত(২)। এর মধ্যে বর্ষার পিতা জাহাঙ্গীর জামাতার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ধার নেয়। ওই টাকা ২ বছরেও ফেরত দিতে না পারায় গত ৩-৪ মাস যাবত স্ত্রী বর্ষা উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করতো স্বামী মনিরুজ্জামান। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। পিতার কাছ থেকে টাকা ফেরত আনতে গত মঙ্গলবার ও বুধবার সকালে ও দুপুরে স্ত্রীকে তৃতীয় দফা মারধর ও অমানষিক নির্যাতন চালায় স্বামী মনিরুজ্জামান। স্বামীর এ নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূ বর্ষা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বুধবার রাতে বিষ ক্রিয়া সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে গৃহবধূ বর্ষা। পরে মুর্মূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পরিবার। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সে মারা যায়। বর্ষা মারা যাওয়ার খবর পেয়ে বাড়িঘর তালাবন্ধ করে স্বামী মনিরুজ্জামান ও পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়।
নিহত গৃহবধূর পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, টাকার জন্য মেয়েকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো জামাতা। অমানষিক নির্যাতন সইতে না পেরে দুই সন্তান রেখে আত্মহত্যা করে মারা যায়।
বন্দর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) হারুন অর রশিদ জানান, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় আসেনি। তবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।