আজ শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্দরে অলি-গলিতে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমজমাট অবৈধ্য বাজার

বন্দরের অলি-গলিতে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে দেদারসে চলছে জমজমাট অবৈধ্য বাজার। এক শ্রেণীর জপপ্রতিনিধির চামচারা, বিশেষ এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ নামধারী, কিছু অসৎ প্রশাসনের লোকজনের সহযোগীতায় বন্দরের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলো থেকে শুরু করে , অলি-গলি রাস্তার মোড় যেখানেই খালি জায়গা অথবা রাস্তার বেশ কিছু অংশ দখল করে উপরে সামিয়ানা টাঙিয়ে ,অস্থায়ী টং-দোকানের মতো বানিয়ে এবং সবচেয়ে সুবিধাজনক রিক্সাভ্যান করে বেচাকেনা শুরু করে দেয়। ঐ সমস্ত বাজারগুলো থেকে এক শ্রেণীর লোক চাঁদা আদায় করে থাকে। সরেজমিনে দেখা যায় যে, নবীগঞ্জ গুদারাঘাট, ইস্পাহানী,মদনগঞ্জের সাবেক রেললাইন, ফরাজিকান্দা, সোনাকান্দার কিল্লার মোড় এলাকা, বাবুপাড়া, ছালেহনগর, ঠাকুরবাড়ী, বন্দর সাবেক রেললাইন, বন্দর চেীধুরীবাড়ী, হাজীপুর এছাড়া অসংখ্য জায়গায় রাস্তার দুই ধারে যেখানে জনসাধারনের পায়ের হাঁটার সামান্য জায়গা খালি থাকে , অলি-গলি এছাড়া কোন গলির রাস্তা অথবা কোন রাস্তার মোড় বন্ধ করে দেদারসে যে যার মতো ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ঐ সমস্ত বাজারের যতো ময়লা-আর্বজনা রাস্তাঘাটে ফেলে রেখে রাস্তা নোংরা ও পরিবেশ চরমভাবে দূষণ করে আসছে। এছাড়া ময়লা-আর্বজনাগুলো কাছের সরকারী খালগুলোতে দেদারসে ফেলে খালগুলোর পানির সংরক্ষণ বন্ধ হয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে পানি সরতে পারছেনা। রাস্তাগুলোতে পানি জমে থাকছে। এছাড়া খালগুলো ভরাট এর ফলে অবৈধ্য দখলদাররা ঐ স্থানগুলোতে ঘরবাড়ী উঠিয়ে স্থায়ীভাবে দখল করে নিচ্ছে। বাজারগুলো রাস্তা বন্ধ করে গড়ে উঠার করার সেখানে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। আবার অনেক ব্যস্ত সড়কের দুইধারে বাজার বসার কারণে প্রধান রাস্তাগুলো সংর্কীণ হয়ে যাচ্ছে। ফলে যানজট প্রকট হয়ে উঠছে। আবার কিছু বাজার স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদ এর গা ঘেঁষে হওয়াতে ঐ সমস্ত স্কুল, মাদ্রাসা ও মসজিদগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উচ্চ স্বরের আওয়াজে লেখাপড়ার বিঘœ ঘটছে। জনসাধারণ মনে করে যে, এই সমস্ত বাজারগুলো একটা নিয়মকানুনের মধ্যে আনা দরকার। বাংলাদেশে যে, কেউ ইচ্ছা করলেই যেখানে খুশি সেখানে পসরা সাজিয়ে ,দোকান বসিয়ে কিছু লোককে চাঁদা দিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করবে তা হতে পারেনা। এইজন্য যে সকল এলাকাগুলো সিটি কর্পোরেশনর আওতাধীন আর যে সকল এলাকা ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন তারা ঐসমস্ত জায়গাগুলো থেকে বাজারগুলো সরিয়ে যেখানে জনদূর্ভোগ না ঘটে ঐ সমস্ত সংস্থার খালি জায়গাগুলোতে স্থানান্তর করা দরকার এবং ঐ সমস্ত বাজারগুলো থেকে তারা সরকারী রাজস্ব আদায় করার ব্যবস্থা করলে সরকারী কোষাগারে জমা হবে । তাতে অন্ততঃ পরিবেশের দূষণ রোধ ও জনগণের দূর্ভোগ লাগব হবে। এ ব্যাপারে অবশ্যই সংশ্লিট সংস্থাগুলোকে যথাযথ ভূমিকা অবশ্যই পালন করতে হবে বলে জনসাধারণ মনে করে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ