নিজস্ব প্রতিবেদক
বলা হয় সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর। তবে একজন নারী কাউন্সিলরকে ৩টি ওয়ার্ডে নির্বাচন করতে হয়। তাকে কাজও করতে হয় তিন ওয়ার্ডেই। অপরদিকে তিন ওয়ার্ডে তিনজন পুরুষ কাউন্সিলর থাকেন। এলাকা বড়, জনসংখ্যা বেশী হলেও ত্রাণের ক্ষেত্রে নারী কাউন্সিলররা একজন পুরুষ কাউন্সিলরের সম পরিমাণ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। আলাপকালে কয়েকজন এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দায়িত্ব বেশী হলেও সুযোগ কম পান তারা।
জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা ও ৩ হাজার ২শ’ মেট্রিক টন চাল এসেছে। যা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনসহ ৫ টি উপজেলা পর্যায়ে বিতরণের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রায় ২ লাখ ৮৭ হাজার ৫শ’ পরিবারের মধ্যে তা বিতরণ করা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খাদিজা তাহেরা ববি। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে শিশু খাদ্যের জন্য এ জেলায় ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ উপজেলায় উপ বরাদ্দ প্রদান করার কাজ চলমান রয়েছে। পাশাপাশি বেসরকারী উদ্যোগে প্রাপ্ত মানবিক সহায়তার মধ্যে ৫০০০ প্যাকেট খাদ্য সহায়তা এবং ৪১ লক্ষ টাকা চেকের মাধ্যমে নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে ৪৯৮৮ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বরাদ্দের অংশ পেয়েছেন নাসিকের নারী কাউন্সিলরা। তবে তাদের দাবি তাদের এলাকার ভোটারের চেয়ে অনেক কম পেয়েছেন তারা।
প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আফসানা আফরোজ বিভা বলেন, তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে একজন নারী জনপ্রতিনিধির আসন। যে হিসেবে তিনজন পুরুষ কাউন্সিলরের চেয়ে কম ত্রাণ পেয়েছি। তবে একজনের সমপরিমান ত্রাণ দিয়েছেন। যা এলাকায় বিতরণ করা হয়েছে।
প্যানেল মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম বলেন, তিন ওয়ার্ডে যে পরিমান ত্রাণ দেয় তা একজন পুরুষ কাউন্সিলরের সমপরিমান হয় না। আমাদের এলাকা বেশি কিন্তু ত্রাণ কম।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর শারমিন হাবিব বিন্নি বলেন, পুরুষ কাউন্সিলরের চেয়ে অনেক কম পেয়েছেন তারা। তবে তাদের এলাকা পুরুষের চেয়ে বেশি তাই ত্রাণের পরিমাণ বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, নারীরা বঞ্চিত বলবো না তবে তাদের চেয়ে অনেক কম সুবিধা পান বলে জানান এই নারীজনপ্রতিনিধি।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকুসদা মোজাফফর বলেন, একজনের ওয়ার্ড ত্রাণ দিতে হয়। জন সংখ্যা বেশি তবে ত্রাণ কম।