নবকুমার: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন মুক্তিকামী মানুষের কন্ঠস্বর। বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য তিনি ২৪ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। আমাদের স্বাধীনতা একদিনে আসে নাই। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
বুধবার জাতীয় গণহত্যা দিবস উপলক্ষে এক সাক্ষাতকারে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয় । ১৯৭১ সালের ২৫ কালরাতে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নির্বিচার মানুষ হত্যা করে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী। দিবসটি স্মরণে প্রতিবছর নানা কর্মসূচি নেওয়া হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এবার সব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন ,বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালির না। উনি সারা বিশ্বের নেতা। ৭ মার্চের ভাষণকে অস্বীকার করা মানে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। এটি শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্ববাসির একটি সম্পদ। পরাধীন জাতির মুক্তির একটি ঐতিহাসিক বার্তা। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের নেতা । যেখানেই অন্যায় অবিচার ছিলো সেখানেই বঙ্গবন্ধু প্রতিবাদ করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, নানা ষড়যন্ত্র করেও বাঙালির মুক্তিসংগ্রামকে প্রতিহত করতে না পেরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ বাঙালিদের নিশ্চিহ্ন করতেই ২৫ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদারেরা এ দেশের গণমানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল।
তিনি বলেন , বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলো তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
স্বাধীনতা ও গণহত্যা দিবসে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত মা-বোনকে গভীর শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করেছে। তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন।
প্রসঙ্গত ছাত্র অবস্থায় গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তিনি ২ নং সেক্টরের অধীনে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেছে। তিনি ছিলেন গেরিলা যোদ্ধা। রাজধানী ঢাকাকে শত্রুমুক্ত করতে কয়েকটি সফল অপারেশনে অংশ নেন তিনি। তিনি রূপগঞ্জেও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।