আজ শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে ফেরত সংক্রান্ত মামলার শুনানি ২৫ মার্চ

বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরত আনার উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের করা রিটের প্রথম শুনানি হবে আগামী ২৫ মার্চ। কানাডার ফেডারেল আদালতের ওয়েবসাইট থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে এই আশঙ্কায় নূর চৌধুরীকে কানাডার সরকার ফেরত পাঠাতে অনাগ্রহী হলেও দেশটির একটি আদালত তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে রাজি না হয়ে ১৯৯৯ সালে বহিষ্কারের আদেশ দেয়।এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও ২০০৭ সালে দেশটির উচ্চ আদালত থেকে একই ধরনের আদেশ পান নূর।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে একটি প্রি-রিমুভ্যাল রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট আবেদন করেন নূর চৌধুরী। এতে তিনি জানান,তাকে যদি কানাডা থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়, তবে ফাঁসি দেওয়া হবে। এরপর গত ১০ বছরে কানাডা সরকার এই আবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান না করে বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছে।

কানাডার অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস ওই আবেদনটির বিষয়টি কেন ফয়সালা করছে না সংক্ষুব্ধ হয়ে তার কারণ জানতে চেয়ে গত বছর জুন মাসে কানাডার ফেডারেল আদালতে  এই বিষয়ে একটি রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করে বাংলাদেশ। রিটে আদালতের কাছে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত চেয়েছে বাংলাদেশ।এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ মার্চ ওই শুনানি হবে।

এ বিষয়টির সঙ্গে জড়িত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা চাই, নূর চৌধুরীর দরখাস্তের বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসকে ফেডারেল আদালত আদেশ দিক।”

তিনি বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস নূর চৌধুরীর দরখাস্ত গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে। কিন্তু আমরা চাই, তারা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুক।’

‘আমরা রিট অব ম্যানডামাস দাখিল করেছি, অর্থাৎ আমরা অবশ্যপালনীয় নির্দেশনা চাই কোর্টের কাছ থেকে’, যোগ করেন তিনি।

অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস তার প্রি-রিমুভ্যাল অ্যাসেসমেন্ট রিস্ক আবেদন খারিজ করে দেয়, তবে তাকে ফেরত আনার পথে কোনও বাধা থাকবে না। আবার যদি তার আবেদন গ্রহণ করা হয়, তবে তাকে সেখানে স্ট্যাটাস দেওয়া হবে এবং তখন নূর চৌধুরীকে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজাপ্রাপ্ত একজন আসামি দেখিয়ে ফেরত পাঠানোর জন্য সরকার আবার মামলা করবে।’

২০০৭ সালে নিম্ন আদালতের আদেশ বহাল রাখে কানাডার উচ্চ আদালত নূর চৌধুরীকে বহিষ্কারের আদেশ দিলে তাকে ফেরত পাঠানোর জন্য ২০০৭ সালে কানাডা সরকার চিঠি দেয় বাংলাদেশকে। কিন্তু তৎকালীন সরকারের অনাগ্রহের সুযোগ নিয়ে কানাডায় অবস্থান করছে নূর চৌধুরী।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রথম তদন্ত প্রতিবেদন জমা হয় এবং এর বিচার সম্পূর্ণভাবে শেষ হয় ২০০৯ সালে। এ মামলায় অপর আসামিদের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয় নূর চৌধুরীর।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ