নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাসদাইর শ্মশানে সৎকার করা হলো শৈশবের বন্ধুর হাতে নৃশংসভাবে খুন হওয়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষের খন্ডিত দেহাবশেষ।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) বিকেল সাড়ে চারটায় নগরীর মাসদাইর শ্মশানে প্রবীরের হাটুর নিম্নাংশ ছাড়াই তার পাঁচ টুকরো লাশের শেষ কৃত্যানুষ্ঠান হয়।
এসময় প্রবীর ঘোষের বাবা, মা, স্ত্রী, দুই মেয়েসহ পরিবারের লোকজন আত্মীয় স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। পরিবারের সদস্যদের আহাজাড়ি ও কান্নায় ভাড়ি হয়ে উঠে শ্মশান এলাকা।
তার আগে দুপুর সাড়ে তিনটায় নারায়ণগঞ্জ ১ শ’ শয্যা জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কালির বাজারের ভোলানাথ জুয়েলার্সের সামনে নিয়ে আসা হয় প্রবীরের লাশ। সেখানে কিছুক্ষনের জন্য রেখে লাশ নিয়ে যাওয়া হয় মাসদাইর শ্মশানের উদ্দেশ্যে। এসময় হত্যাকারী পিন্টু দেবনাথ ও বাপন ভোমিকের ফাঁসির দাবিতে শ্লোগান মূখর হয়ে উঠে কালির বাজার এলাকা। শ্মশানে যাওয়ার পথেও হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে শ্লোগান দেয়া হয়।
এদিকে সোমবার দিবাগত রাতে প্রবীর ঘোষের পাঁচ টুকরো লাশ উদ্ধারের পর স্থগিত করা হয় উদ্ধার অভিযান। মঙ্গলবার সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হলেও প্রবীরের শেষকৃত্যানুষ্ঠান পর্যন্ত তার দুই পায়ের অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে পা ছাড়াই শ্মশানে দাহ করা হয় ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের লাশ।
এবিষয়ে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, এখনো পর্যন্ত (সৎকার সময়ে) প্রবীর ঘোষের দুই পা উদ্ধার করা যায়নি। উদ্ধার অভিযান চলছে।