আজ মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে আ.লীগের নামে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য

২৩ জুনের ফাইল ছবি

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের বান্যারে জনসভা করেছে গুটি কয়েক জনবিচ্ছিন্ন হাইব্রিড আ.লীগ নেতা। বৃহষ্পতিবার রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপশহর রাজউক ভবন সংলগ্ন পূর্বাচল ময়দানে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের ৩৮ জন নেতার মধ্যে ৩২ জন নেতাই অনুউপস্থিত ছিলো। জানা গেছে রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতিকে দাওয়াত দেওয়া হয় নাই।

জনসভায় অধিকাংশ বক্তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অমান্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলো যে কেউ এমপি প্রার্থী হতে গিয়ে আমার দলের এমপির বদনাম করতে পারবে না। যে এমপির বদনাম করতে গিয়ে আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে তাকে আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়া হবে না পরিষ্কার কথা।

কিন্তু গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সফল করার নামে প্রস্তুতি সভায় বর্তমান আ.লীগ সরকারের কোন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হয় নাই। বরং সমাবেশকে সফল করতে প্রীতি ভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রলোভন দেখিয়ে রুপগঞ্জসহ আশেপাশের বিভিন্ন থানা থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসে।

বর্তমান সরকারের আমলে রূপগঞ্জে সর্বকালে সেরা উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট স্কুল কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নির্মিত হয়েছে ভুলতা ফ্লাইওভার, তৃতীয় শীতলক্ষা সেতু সহ বেশ কিছু মেগা প্রকল্প।

বিএনপি জামায়াতের শাসন আমলে রূপগঞ্জে আ.লীগ নেতাকর্মীদের উপর অনেক হয়রানীর নির্যাতন চালানো হয়েছে। সে কথা কোন বক্তা তার বক্তব্যে তুলে ধরে নাই।

তারা সবাই নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্যের বদনাম করতে গিয়ে আ.লীগের ভামূর্তি নষ্ট করছে।
জানা গেছে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ টাকা উৎস কোথায় তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

যে সকল নেতারা রূপগঞ্জের আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে তাদের মধ্যে অন্যতম কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিনা ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ভূমিদস্যু রফিক,শাহজাহান চেয়ারম্যান,আঃ আউয়াল,মাহবুবুর রহমান,আবুল বাশার টুকু,আব্দুল আজিজসহ প্রমুখ ।

এরা সবাই বিএনপি জামায়াত ভূমিদস্যুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। জানা গেছে শাহজাহান ভূইয়া আর রফিক ভূমিদস্যুদের ইন্ধনে সুসংগঠিত রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে।

এসময় বক্তারা আ.লীগ তথা নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য রণাঙ্গণের খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজীর বদনাম করে। বিভিন্ন প্রকার মানহানি কর শ্লোগান দেয়।

গোলাম দস্তগীর গাজীর বিরুদ্ধে মানহানি কর শ্লোগান এবং বাজে বক্তব্য দেওয়ায় তার প্রতিবাদ জানিয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে আ.লীগের সকল সহযোগী সংঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। গাজী সাহেবের নেতৃত্বে রূপগঞ্জে সর্বকালের সেরা উন্নয়ন হয়েছে। নির্মিত হয়েছে বিভিন্ন স্থানে আ.লীগের পার্টি অফিস। তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোজ খরব নিতে সপ্তাহে তিন দিন এলাকায় থাকেন। যারা গোলাম দস্তগীর গাজী বিরুদ্ধে মানহানি কর শ্লোগান দিয়েছে এবং বদনাম করেছে তারা আ.লীগ হতে পারে না। তারা বিএনপি জামায়াত ভূমিদস্যুদের দালাল। আমি রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে এর তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরেও নির্বাচনের আগে স্থানীয় এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজে বক্তব্য দেওয়াটা কতোটা শোভনীয় ,তা দলের হাইকমান্ডই বলতে পারবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ