আজ রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পৃথিবীর যে ভুতুড়ে স্থানগুলো “পর্যটন কেন্দ্র” হিসেবে বিবেচিত

 

বেশিরভাগ মানুষ ঘুরে বেড়ায় নির্জন পাহাড়ে, সাগর পাড়ে বা নিরাপদ জঙ্গলে। সত্যিকার রোমাঞ্চ প্রিয় ভ্রমণ পিপাসীরা খোঁজে থাকেন উত্তেজনাময় একটা ভ্রমণের। বলা হয়ে থাকে আতঙ্ক আমাদের জ্ঞানের অনুভূতি বাড়িয়ে তোলে আর ভ্রমণ বাড়িয়ে তোলে আমাদের জ্ঞানের পরিধি। তাই যে জায়গায় ভ্রমণ এবং তীব্র ভয় দুটোই থাকে সেটাই হচ্ছে আসল রোমাঞ্চকর জায়গা। এরকম জায়গার প্রতি অনেকের থাকে অদম্য আকর্ষণ। আমাদের পৃথিবীতে এই রকম বহু জায়গা রয়েছে। আপনি যদি সাধারণ একঘেয়ে ভ্রমণ করতে করতে বিরক্ত হয়ে থাকেন এবং রোমাঞ্চকর কোন স্থানে যেতে চান তাহলে YMB ঐ রকম কিছু পর্যটন কেন্দ্রের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরছে।

বেল উইচ কেভ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (The Bell Witch Cave, USA)

জায়গাটি এক সময়ে বেল পরিবারের ছিল। কথিত, ১৮১৭ সালে বেল পরিবার তাঁদের বাড়ির চারপাশে নানা ধরনের আওয়াজ শুনতে পেত। সেই ভৌতিক ব্যাপার স্যাপারের জন্যই পরবর্তীকালে জায়গার নাম হয়ে যায় বেল উইচ কেভ।

ব্যাচেলর্স গ্রোভ সিমেটরি (Bachelor’s Grove Cemetery)

Bachelor's Grove Cemetery

শিকাগো শহরের বাইরেই রয়েছে এই কবরস্থান। এখনও পর্যন্ত ১০০রও বেশি ভৌতিক কার্যকলাপের কথা শোনা গিয়েছে এই জায়গা নিয়ে। একটি ভুতুড়ে গাড়ির কথাও বলেছেন অনেকে।

ক্রোক-প্যাটারসন ম্যানসন, ডেনভার (Croke-Patterson mansion, Denver)

১৮৯০ সালে নির্মিত এই বাসস্থানটিকে দেখলে প্রাসাদ বলে ভুল হতেই পারে। কথিত, ম্যানসনের এক মালিক আত্মহত্যা করেছিলেন এই বাড়িতেই। তারপর থেকেই ভুতুড়ে বাড়ি বলে পরিচিত এই প্রাসাদোপম বাড়িটি।

ডেথ ভ্যালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (Death Valley, USA)

এ জায়গার নামেই মৃত্যু। এক সময়ে মনুষ্য বসতি থাকলেও, এখানকার তাপমাত্রা প্রচণ্ড বেশি। পাশাপাশি এই অঞ্চল অত্যন্ত রুক্ষ। দক্ষিণ আমেরিকার সব থেকে নিচু জায়গা এই উপত্যকা।

আওকিগহারা জঙ্গল, জাপান (Aokigahara Jungle, Japan)

মাউন্ট ফুজির পাদদেশে রয়েছে এই বনাঞ্চল। যাকে ‘সুইসাইড ফরেস্ট’ নামেও জানে অনেকে। জাপানের এক দৈনিকের খবর অনুযায়ী, ২০১০ সালে এই জঙ্গলে ২৪৭ জন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ৫৪ জনের। দুটি সংখ্যাই প্রতি বছর বেড়ে চলেছে বলে জানিয়েছে ওই দৈনিক।

টাওয়ার অফ লন্ডন (The Tower of London)

৯০০ বছরেরও বেশি বয়স এই প্রাসাদের। স্বভাবতই এই প্রাসাদকে নিয়ে প্রচলিত রয়েছে নানা ভুতুড়ে গল্প-গাথা।

ডোর টু হেল, তুর্কমেনিস্তান (Door to Hell, Turkmenistan)

আক্ষরিক অর্থেই যেন ‘নরকের প্রবেশদ্বার’! কারাকুম মরুর এই জ্বলন্ত গহ্বর সৃষ্টি হয় ১৯৭১ সালে। প্রাকৃতিক তেলের খোঁজে এক দল ইঞ্জিনিয়ার মাটি খোঁড়ার সময় এই জায়গায় প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পান। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা, এই ভেবে যে কয়েক দিন জ্বলার পরে গ্যাস শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু, সেই আগুন এখনও জ্বলছে।

নাগোরো, জাপান (Nagoro, Japan)

জাপানের এই ছোট্ট গ্রামটিতে জনসংখ্যা খুবই কম। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি মাত্র ৩০ জন বাস করতেন এই দ্বীপে। হয়তো সেই কারণেই দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেখা যায় প্রচুর পুতুল। দোকান-বাজার-রেস্তোরাঁ, এমনকি স্কুলেও নানা ধরনের পুতুল বসিয়ে রেখেছে বাসিন্দারাই।

আইল্যান্ড অফ ডলস, মেক্সিকো (Island of the Dolls, Mexico)

মেক্সিকো সিটির দক্ষিণে একটি ছোট্ট দ্বীপ রয়েছে যার নাম “আইলা দ্য লা মুনেকাস”। দ্বীপের গাছগাছালিতে ঝুলে রয়েছে নানা ধরনের পুতুল। কথিত, বহু বছর আগে এই দ্বীপের কিনারে একটি বাচ্চা মেয়ের দেহ ভেসে আসে। স্থানীয় এক বাসিন্দা তা দেখে দ্বীপের গাছে পুতুল ঝুলিয়ে দেয়।

ওয়েভারলি হিলস স্যানেটোরিয়ম, কেনটাকি (Waverly Hills Sanatorium, Kentucky)

১৯১০ সালে তৈরি করা বয় এই হাসপাতাল। মূলত টিবি রোগীদের চিকিৎসা করা হতো এখানে। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, প্রায় ৮০০০ রোগী মারা গিয়েছিলেন এই হাসপাতালে।

 

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ