নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিতর্ক জেন পিছু ছাড়ছেনা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের। সারাদেশে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে একের পর এক সফল অভিযান পরিচালনা করে প্রশংসা কুড়ালেও সিদ্ধিরগঞ্জে আবারো সিভিল পোশাকে গ্রেফতার বাণিজ্য করতে উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল আহমেদ ও সোর্স শুক্কুর জনতার রোষানলে পরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় বিক্ষুব্দ জনতা সোর্স শুক্কুরকে উত্যম মাধ্যম দিয়ে তাদেরকে আটক করে রাখলে খবর পেয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানারব উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাসেল ও রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার (১ জুন) বিকাল সাড়ে ৫টায় নাসিক ৪নং ওয়ার্ডের আটি হাউজিং এলাকার আমিনুল হকের ছেলে জাহিদুল নামে এক যুবককে বিনা গ্রেফতারী পরোয়ানায় সোর্সের ইন্ধনে গ্রেফতার করতে গেলে এ অপ্রীতিকর ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ফয়সাল আহমেদ ও সোর্স শুক্কুর সহ আরো একজন কনষ্টেবল একটি সিএনজি যোগে আটি হাউজিং এলাকায় আসে ওয়ারেন্টের আসামীর খোঁজে। এসময় সিএনজির গ্যাস না থাকায় ফয়সাল আহমেদ চিটাগাং রোডে গ্যাস আনতে গেলে সোর্স শুক্কুর ও কনষ্টেবল জাহাঙ্গীর জাহিদের নামে ওয়ারেন্ট রয়েছে মর্মে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে বসিয়ে রাখে। তখন আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে কি কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে তারা জানায় ওয়ারেন্ট আছে। ওই মুহুর্তে ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে সোর্স ও কনষ্টেবল জানায় যে দারোগার কাছে রয়েছে। পরে দারোগা ফয়সাল ঘটনাস্থলে আসার পর স্থানীয়রা ওয়ারেন্টের কাগজ দেখতে চাইলে দেখাতে না পারায় তারা জনতার রোষানলে পরে। এসময় বিক্ষুব্দ জনতা দারোগার সামনেই সোর্স শুক্কুরকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে এক ঘন্টা আটক করে রাখে। খবর পেয়ে উপ-পরিদর্শক রাসেল আহমেদ ও রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার জানায়, এ ঘটনায় উপ-পরিদর্শক ফয়সাল নির্দোশ, তার অনুপস্থিতিতে সোর্স শুক্কুর এ কাজ করেছে। তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সোর্সের কাছে কিভাবে হ্যান্ডকাফ গেলো এ বিষষটি তিনি এড়িয়ে যান।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল বুধবার দিবাগত রাত ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাশিকুর রহমান শান্ত অন্য এলাকায় ডিউটিরত থাকা অবস্থায় থাকলেও ওই একই এলাকায় মাসুম নামে এক যুবককে সাথী নামে এক নারী সোর্সকে দিয়ে ফাঁসিয়ে ব্লাকমেইলিং করে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিলো। সেই সময়ে ওই এএসআইও জনতার রোষানলে পরে ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ ছিলো। পরে তাকেও থানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উদ্ধার করে। তার অপরাধ তদন্তে প্রমানিত হওয়াগ ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার মঈনুল হক তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করে। সে রেষ কাটতে না কাটতে আবারো একই এলাকা এ ঘটনা ঘটায় থানা পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।