আজ রবিবার, ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে: সন্তু লারমা

   নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায়  পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি সন্তু লারমা বলেছেন, ‘আমরা যেন সেই পাকিস্তানি শাসনমালের মতোই একটি ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থায় আছি। এ উপনিবেশ তো আমরা চাইনি। গোটা চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে অনেক ফাঁকি।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির দুই দশক পূর্তি উপলক্ষে শনিবার রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার ভবনে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি হয়, যার মধ্য দিয়ে সেখানে দুই দশক ধরে চলা সশস্ত্র আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় শান্তি চুক্তির সঙ্গে ‘প্রতারণা করছে’— এমন অভিযোগ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘বিশেষ শাসিত অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, কিন্তু তা করা হয়নি। আজকে আঞ্চলিক পরিষদকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রেখেছে সরকার ও মন্ত্রণালয়।’

এ সময় সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে জনসংহতি সমিতির সভাপতি বলেন, ‘পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পাহাড়ে আগুন জ্বলবে।’

তিনি বলেন, ‘পাহাড়ি জনগণের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। তাদের আর পেছনে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এখন পাহাড়ের মানুষ প্রতিরোধ করবে। আর নিরস্ত্র মানুষের ওপর সরকার অস্ত্র দিয়ে হামলা চালালে তাদেরও অস্ত্র দিয়ে উত্তর দিতে হবে।’

আইনের বিভিন্ন ধারা সংশোধন করতে বারবার সরকারকে বলা হলেও সরকার সায় দিচ্ছে না এমন অভিযোগ করে সন্তু লারমা বলেন, ‘সরকার বারবার বলছে, জনসংহতি সমিতি সহযোগিতা করলে সবকিছু বাস্তবায়ন সম্ভব । আমরা তো সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত, কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনছেন না।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সমকালের উপ-সম্পাদক আবু সাঈদ খান, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, গোলাম মোর্তজা প্রমুখ।