আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাট রপ্তানির মাধ্যমে চাষীদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে : বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

নবকুমার:

কাঁচা পাট রপ্তানির মাধ্যমে পাট চাষীদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ।

সোমবার ফরিদপুরে পাটের উন্নয়ন ও গবেষণা বিষয়ক মিনারে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, অসাধু ব্যবসায়ীদের কারনে প্রকৃত পাট চাষীরা পাটের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না। এবার যে কোন মূল্যে চাষীদের পাটের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা হবে। সরকার পাট চাষীদের ভর্তুকি দিচ্ছে । চাষীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। উন্নত প্রযুক্তি আমদানি করছে। চাষীদের বাদ দিয়ে পাটের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা পাটের হারানো গৌরব ফেরাতে বিদেশে পাটজাত পন্যের নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে পাটের নতুন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। তাতে পাটের ২৪ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় সাতশ ১৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকার। পাট দিয়ে তৈরি শাড়ি, লুঙ্গি, খেলনা, গহনা ও গহনার বক্সসহ ২৮৫ ধরনের পণ্য দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট এখন পশ্চিমা বিশ্বের গাড়ি নির্মাণ, পেপার অ্যান্ড পাম্প, জিওটেক্সটাইল হেলথ কেয়ার, ফুটওয়্যার, উড়োজাহাজ, কম্পিউটারের বডি তৈরি, ইলেকট্রনিক্স, মেরিন ও স্পোর্টস শিল্পে ব্যবহূত হচ্ছে। পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার আগামী দু্ই থেকে তিন বছরের মধ্যেই সারা বিশ্বে তিনগুণ বেড়ে যাবে। আর চাষীদের আয় বৃদ্ধি পাবে বহু গুণ । নতুন জাতের আবাদের মাধ্যমে উত্পাদন বাড়িয়ে এ সুযোগটিও কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ।

সেমিনারে চীনের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। গোলাম দস্তগীর চীনে বাংলাদেশের পাট জাত পণ্যে রপ্তানিতে চীনা ব্যবসায়ীদের সহযোগীতা চান। মন্ত্রী কে চীনের ব্যবসায়ীরা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

এছাড়া ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। মন্ত্রী ফরিদপুর জেলা পুলিশের সালাম গ্রহন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফরিদপুর জেলা প্রশাসক উম্মে সালমা তানজিয়া ,মন্ত্রী বিশেষ সহকারী এমদাদুল হক সহ  বিভিন্ন দেশের পাট গবেষক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ।