আজ শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পাকিস্তান আমলে মেধাবী ছাত্রদের মারধর করা হতোঃ তরিকুল সুজন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উপকূলে নজরদারি, ফেনী নদীর পানিবন্টন ও গ্যাস রপ্তানীসহ ভারতের সাথে সকল অসম চুক্তি বাতিলের দাবী ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যার বিচারের দাবিতে সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা। বুধবার বিকাল ৫ টায় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি শুভ দেব এর সভাপতিত্বে ফারহানা মানিক মুনার সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে খুনের বিচার শেষ হয় গ্রেফতার আর বহিষ্কার দেখিয়ে বিচারের সমাপ্ত করা হয়। এই দেশের মানুষের মত প্রকাশ করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। কেউ স্বাধীন ভাবে তার মত প্রকাশ করতে পারে না। বিগত ১০ বছরে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন কে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশে এখন বিচার ব্যবস্থা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চলে। তিনি যতক্ষন নির্দেশ না দিবেন ততক্ষন বিচার কার্য শুরু হয় না। আজ সুষ্ঠু বিচার না হওয়ায় ছাত্রলীগ একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলছে ঘটাচ্ছে।

সমাবেশে গনসংহতি আন্দোলনের জেলা সভাপতি তরিকুল সুজন বলেন, স্বৈরতন্ত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তারা মেধাবীদের সহ্য করতে পারে না। যে রাষ্টের মধ্যে মেধাবী গড়ে উঠতে পারে না, যে রাষ্ট প্রশ্ন করার শক্তি ধারণ করতে পারেনা, সে রাষ্ট আর যাই হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার গণতান্ত্রিক রাষ্ট হতে পারে না। বাংলাদেশে যুদ্ধের পূর্বে বুদ্ধিজীবিদের ধরে ধরে খুন করা হতো। পাকিস্তানের আমলে প্রত্যেকটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদেরকে মারধর করা হতো । তাদের কে ভয়ভীতির সংস্কৃতি মধ্যে রাখতো। মনে রাখবেন আজ যারা প্রশ্ন করছে, যারা কথা বলছেন তারা নিঃসন্দেহে মেধাবী। আমরা এমন একটি রাষ্টে বসবাস করছি যেখানে ক্রমশই মেধাবীদের মেরে ফেলা হচ্ছে এবং তাদের সহ্য করতে পারছে না। তার অন্যতম দৃষ্টান্ত হলো ৬ অক্টোবরের আবরার হত্যা। মানুষের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে রাজত্ব করতে চায় ছাত্রলীগ। আমরা এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন মেধাশূন্য করার চক্রান্ত চলছে। ক্ষমতাকে ধরে রাখার অপচেষ্টা করছে তার অন্যতম রূপ হচ্ছে ৬ই অক্টোবরের আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ড ঘটনা। ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের শাসন ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন হত্যাকান্ডর ঘটনা ঘটতে দেখেছি আমরা। ২০১০ এর পরবর্তী সময়গুলোতে আমরা দেখেছি বিডিআর হত্যাকান্ড, মেধাবী ছাত্র আবু বকর হত্যা, নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীসহ বিভিন্ন মেধাবী ছাত্র হত্যাকান্ড। এবার বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা দ্বারা প্রমান হয় যে! বাংলাদেশের মেধা শক্তিকে ধীরে ধীরে হত্যা করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে এই ধরণের অবৈধ চুক্তিকে বাতিলের দাবী জানাচ্ছি। ফেনীসহ তার আশেপাশে সেচ অঞ্চল গুলোকে রক্ষা করেন। প্রধানমন্ত্রী আপনি এমন কোনো চিন্তা করবেন না যেটা সাধারণ মানুষের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে যায়।

সমাবেশে সময় আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফেডারেশনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শুভ দেব, নারী সংহতির সভানেত্রী পপি রাণী সরকার, গনসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান খান রিচার্ড, সিদ্ধিরগঞ্জের আহবায়ক জাহিদুল আলম আল জাহিদ, ছাত্র ফেডারেশনের অর্থ সম্পাদক ফারহানা মানিক মুনা, সহ সভাপতি শুভ্র কুমার, এই বাংলার সংগঠক দিদার গোলাপ প্রমুখ।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ