আজ বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,
২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১আসনে (রূপগঞ্জ) পুনরায় নৌকার মাঝি হচ্ছে একাত্তরের রণাঙ্গনের খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট শিল্পপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। গণভবনের একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে রূপগঞ্জে উন্নয়নে স্বচ্ছতা জবাবদিহিতা তৃণমূল আ.লীগের নেতাকর্মীদের সক্রিয় রাখায় গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নাম প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে রয়েছে। তার নামে নেই কোন দুর্নীতি চাঁদাবাজি মাদক ব্যবসার অভিযোগ।
২০০৮ সালের নির্বাচনে গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামানকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে সবাইকে অবাক করে দেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর টানা ১০ বছরে রূপগঞ্জে সর্বকালের সেরা উন্নয়ন করেছে। নির্মিত হয়েছে ভূলতায় ফ্লাইওভার, সুলতানা কামাল সেতু,তৃতীয় শীতলক্ষা সেতু। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার যত জরিপ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কালো তালিকায় গোলাম দস্তগীর গাজীর নাম নেই। রূপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী আ.লীগের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছে।
ঢাকার পার্শবর্তী শিল্প সমৃদ্ধ আধুনিক রূপগঞ্জ গড়তে ধারাবাহিক উন্নয়নের সফলতায় এবারও আ.লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোলাম দস্তগীর গাজীর উপর আস্থা রাখছে।
গোলাম দস্তগীর গাজীর নৌকার মাঝি হচ্ছে এমন খবর রূপগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে তৃণমূল আ.লীগে খুশির জোয়ার বইছে। বিপরীতে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে, মিথ্যা তথ্যে ভরপুর বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে প্রভাবশালী একটি মহল।
ভূমি দখল ও হত্যার রাজনীতির ষড়যন্ত্রে সফল না হয়ে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও আওয়ামীলীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে, এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো।
ঢাকার কাছাকাছি পূর্বাচল স্যাটেলাইট শহর হওয়ার কারণে, জাতীয় রাজনীতিতে রূপগঞ্জের গুরুত্ব অপরিসীম। জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে, এক সময়ে উত্তপ্ত ছিলো রূপগঞ্জ। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার মহতী উদ্যোগে এ সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি।
তাঁর সময়োপযোগী ও সাহসী নেতৃত্ব রূপগঞ্জবাসীর কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌছে দিয়েছে তাঁকে। এই সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটটি, জনতার প্রতিরোধে সুবিধা করতে না পেরে, গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এমপি’র বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। ঐক্যবদ্ধ রূপগঞ্জ তৃণমূল আওয়ামীলীগে বারবার বিভেদের ষড়যন্ত্রে সব সময়ই সোচ্চার ওই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট। গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি’র সাহসী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে রূপগঞ্জের তৃণমূল নেতৃত্ব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ছিলো ঐকবদ্ধ।
সম্প্রতি ব্যাংকার্স ওনার্স এসোসিয়েশনের সাথে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে, গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকের সাথে একান্তে বেশ কিছু সময় কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় ঐক্য বজায় ও রূপগঞ্জের ধারাবাহিক উন্নয়ন বাস্তবায়ন করায়, এ সময় গোলাম দস্তগীর গাজীর কাজে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আমন্ত্রণে বঙ্গভবন ও গণভবনে গোলাম দস্তগীর গাজী ভিআইপি অতিথি হিসেবে দাওয়াত পাচ্ছে। যা নারায়নগঞ্জের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে প্রধানমন্ত্রীর এ আনন্দঘন সাক্ষাত আগামী নির্বাচনে নারায়নগঞ্জের রাজনীতিতে, তাঁকে ভালো অবস্থানে রাখবে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের মহান বিজয় দিবসে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিশেষ পুরস্কার ও তার নির্বাচনী এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং সমাজের শোষিত মানুষের সেবায় বিশেষ অবদান রাখায়, মাদার তেরেসা পুরস্কার এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় ভারত সরকার কর্তৃক বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে বেশ ক্লিন ইমেজে রয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা বলেন, রূপগঞ্জের দৃশ্যমান উন্নয়নে গোলাম দস্তগীর গাজীর ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া তৃণমূলের রাজনীতিতে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের আগে, রূপগঞ্জ আওয়ামীলীগে যে দুর্দশা ছিলো, গোলাম দস্তগীর গাজীর ক্ষমতা গ্রহণের পর, তাঁর দূরদর্শী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে এটিকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী সংগঠনে রূপদান করেছেন। যেখানে একটিও দলীয় অফিস ছিলো না, সেখানে প্রত্যেক পাড়া মহল্লায় আওয়ামীলীগের অফিস তৈরি করে, দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা রেখেছেন। সাপ্তাহে তিন দিন বৃহষ্পতিবার শুক্রবার শনিবার স্থানীয় তৃণমূল নেতাকর্মীসহ জনপ্রিতিনিধিদের সাথে সময় দিচ্ছেন। এক সময়ের দুর্বল আ.লীগকে, এখন গোলাম দস্তগীর গাজীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে নারায়নগঞ্জের শক্তিশালী দুর্গে পরিণত হয়েছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে, রূপগঞ্জের ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটটি সক্রিয় রয়েছে। যার কারণে বেশ কিছুদিন যাবত বেশ কয়েকটি পত্র পত্রিকা ভূমি দস্যুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভুলে ভরা মিথ্যা ও বিভ্রআন্তিমূলক তথ্য পরিবেশনের ষড়যন্ত্র করছে। জনগণকে এসব ষড়যন্ত্রে কান না দেয়ার আহবান জানিয়েছেন শেখ সাইফুল ইসলাম।
রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের প্রচার সম্পাদক মানজারি আলম টুটুল বলেন, একটি মহল গোলাম দস্তগীর গাজীর উন্নয়নে ঈষান্বিত হয়ে মিথ্যাচার করছে।তারা ভূমিদস্যু চক্রের সাথে আতাত করে সিন্ডিকেট নিউজ প্রকাশ করছে। রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের ৩৮ জন সদস্যের মধ্যে ৩২ জন গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য হলেন,রূপগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি ড.শওকত আলী,যুগ্মসম্পাদক কৃষ্ণ দয়াল দাস, যুগ্মসম্পাদক এড. মফিজ, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক রমাকান্ত দাস, তথ্য গবেষণা সম্পাদক তাবেল, আ.লীগের সদস্যদের মধ্যে রয়েছে আজমত আলী,হয়দার আলী,মান্নান মুন্সি ১ ,মান্নান মুন্সি ২, আলাউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম,বাবর আলী,এড.আশরাফ আলী,গোলাম রসুলসহ প্রতিটা ওয়াডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ ৯০% নেতাকমী গোলাম দস্তগীর গাজীর সাথে আছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন বলেছেন, গাজী গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে সময় মতো কমিটি গঠনের মাধ্যমে রূপগঞ্জ ব্যাপী যুবলীগ চাঙ্গা রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীকের পরামর্শে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শীলা পাল বলেছেন, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পূর্বে রূপগঞ্জে মহিলা আওয়ামীলীগ বলতে কিছুই ছিলো না। গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি ক্ষমতায় আসার পর, তাঁর সহধর্মীনী মিসেস হাসিনা গাজী’র নেতৃত্বে প্রতিটি পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে, উপজেলা পর্যন্ত সুসংগঠিত মহিলা আওয়ামীলীগ।
রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মেহের বলেছেন, ষড়যন্ত্রকারীরা গাজী গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি’র উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আওয়ামীলীগের মধ্যে বিভেদ তৈরির পাঁয়তারা করছে। নির্বাচিত স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি’র নেতৃত্বে কাজ করছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
গোলাম দস্তগীর বীর প্রতীক এমপি’র সুদক্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামীলীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলাব ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: আবুল হোসেন খান, সাধারন সম্পাদক হাসান আশকারী, দাউদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আফাজউদ্দিন, কাঞ্চন পৌরসভার সভাপতি নজরুল ইসলাম মাষ্টার, সাধারন সম্পাদক গোলাম রসুল, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রফিক মিয়া, ভুলতা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বাবুল ভুইয়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের সভাপতি মন্জুর রহমান, সাধারন সম্পাদক আাব্দুস সাত্ত্ার, চনপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আমির হোসেন,সাধারন সম্পাদক বজলুর রহমান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জায়েদ আলী, তারাব পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান।
রূপগঞ্জ উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ.লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা সবাই গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
