সোনারগাঁ সংবাদদাতা:
নির্বাচন সামনে রেখে সোনারগাঁওয়ে সংগঠিত হচ্ছে জামায়াত-শিবির। সম্প্রতি কাঁচপুর ইউপির ললাটি এলাকায় তাদের গোপন বৈঠক আর সংগঠিত হওয়ার ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী এদের কর্মকান্ড নজরদারী করতে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
বিগত ২০১৩ সালে হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৬ই ফেব্রুয়ারি ললাটি এলাকার আ. রাশিদের ছেলে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃত্ততার অভিযোগে অভিযুক্ত রাশেদুল মামুনসহ জঙ্গী রাশিদুল মামুনের সহযোগী জামায়েত নেতা দেলোয়ারের বাড়ি থেকে পুলিশ বোমা উদ্ধার করেছিল।
আবারও কোন নাশতকার ষড়যন্ত্র করছে কিনা তা নিয়ে এলাকাসী সন্দিহান।
পুলিশ সুপারের কাছে লেখা অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেছেন, জেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের লালটি উত্তরপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা গোপন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মসজিদের নামে ললাটি এলাকার হাজী মো. মুজিবুর রহমান ও তার ভাই হাবিবুর রহমানের দান করা জমি দখল করে তারা গোপন আস্তানা বানিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই দাতাদের আরও ৩০ শতাংশ জমি দখল করে সেখানে মাদরাসার নামে গোপন বৈঠক করে যাচ্ছে।
এলাকার মৃত মজিদ মিয়ার তিন ছেলে- শফিকুর রহমান, আতিকুর রহমান ও আনিছুর রহমান খোকন এবং একই এলাকার আ. রাশিদের ছেলে রাশেদুল মামুনসহ তার সহযোগীরা এলাকার এসব অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
২০১৩ সালে হেফাজত কান্ডের পর থেকে বেশ কিছুদিন পর্যন্ত উল্লেখিত অভিযুক্ত ব্যাক্তিরা এলাকা থেকে পালিয়ে অন্যত্র আত্মগোপনে থাকলেও সম্প্রতি তারা আবার পুনরায় সংগঠিত হয়ে এলাকার নিরীহ মানুষের জমি জাল জালিয়াতি করে ও ওয়াফপো সম্পত্তি দখল করে সেখানে তাদের গোপন আস্তানা বানিয়ে নিয়মিত গোপন বৈঠক এবং নাশকতার পায়তারা করিতেছে।
এলাকাবাসী তাই এ ব্যাপারে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারী কামনা করছেন।