আজ রবিবার, ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে নিরাপত্তা জোরদারের রহস্য কি?

নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনীয় পরবর্তী সময় যে কোন সহিংসতা দমন করতে প্রশাসনের লোকজন ব্যাপক টহল বৃদ্ধি করেছে নারায়ণগঞ্জে। এতে করে সাধারন মানুষ নির্বিঘেœ চলাচলসহ তাদের নিত্য কাজ কর্মসহ শেষে নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরতে পরেন। এমন লক্ষ্যে প্রশাসন টহলে থাকবেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রশাসনের নিরাপত্তার জোরদারের কারনে নির্বাচনীয় এলাগুলোতে স্থানীয় সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারী, বহুমামলার আসামী, মাদকসেবী ব্যবসায়ীরাসহ বহিরাগত লোকজনের আনাগোনা ছিল না বলেও জানা যায় স্থানীয় লোকজনের বরাত।

আড়াইহাজার এলাকার সোনা মিয়া নামের একজন বলেন, দেশের প্রশাসনের লোকজন যদি অপরাধীদের দমন করতে চায় তা পারেন। যেমন পেরেছেন সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে।
সোনারগাঁও উপজেলার লাঙ্গলবোন্দ এলাকার আরিফ, হোসেন, আকতার তারা এ এলাকায় বসবাস করেন। তাদের কাছে নির্বাচন কেমন হয়েছে ? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা কেমন ছিল ? তারা বলেন, নির্বাচনের ৪ দিন আগে থেকে যেমন নিরাপত্তা দিয়েছে এমন নিরাপত্তা প্রতি মাসে ২ বার দেয়ার ব্যবস্থা করলে এলাকায় অপরাধীরা উঠতে পারবেন না। এলাকায় কোন প্রকার মাদক ব্যবসায়ীসহ মাদধকসেবী খোঁজে পাওয়া যাবে না। নির্বাচনের আগে থেকে যেভাবে পুলিশ র‌্যাব, বিজিবিসহ সেনাবাহিনীর লোকজন সন্দেহভাজনদের চেক করেছে তাতে সাধারন মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন বলে স্থানীয়দের অভিমত। তারা আরও বলেছেন, এতে অপরাধীরা অপরাধ কারার কোন সুযোগ পায়নি। নির্বাচনে কোন প্রকার সহিংসতা করতে ও হয় নি বলছেন সাধারন মানুষ। তাদের ধারনা অপরাধীরা এলাকা ছাড়া ছিলেন। প্রশাসনের লোকজন চাইলেই পারেন প্রতিটি এলাকা শান্ত ও অপরাধ এবং অপরাধী মুক্ত তার প্রমান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। প্রশাসনের লোকজনের দাবি জেলার কোথাও কোন প্রকার সংহিংসতা হয় নি। সাধারন মানুষ বলছেন একটু ভিন্ন কথা।

নারায়ণগঞ্জে-৩ সোনারগাঁও উপজেলার নির্বাচনীয় এলাকায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি অনেকের। ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করেদেওয়া ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের পোলিং এজেন্ট লোকজনদের বের করে দেয়াসহ একাধিক সমর্থকদের মারধর করা। নারায়ণগঞ্জ-২ আড়াইহাজার নির্বাচনীয় এলাকার একাদিকস্থানে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের লোকজনদেরসহ পোলিং এজেন্টদের সকাল ৯টার পরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ তাদের কয়েকজনকে মারধর করেছেন বলেও দাবি করেন অনেকেই।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনেও তুলারাম কলেজে ভোট দিতে আসা আকবর নামের এক ভোটারকে ও তার পরিবারের দুই সদস্যকেও ভোট না দিতে দেয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও জালকুড়ি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি একাদিক ভোটারসহ নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বিএনপির সমর্থকদের কয়েকজন। ভোট না দিতে দেয়া ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়াসহ পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করার অভিযোগ উঠেছিল

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের কয়েকটিস্থানে। এম অভিযোগ উঠলেও বড় ধরনের কোন প্রকার সংহিংসতা নেই বলে প্রশাসনের লোকজন দাবি করেন। অনেকে এলাকায় এখনও প্রশাসনেসর লোকজন মোতায়েন ও টহল অব্যাহত রয়েছে। স্থনীয় সূত্র থেকে জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিন রাত থেকে নির্বাচনের দিনে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরা ছিলেন গ্রেফতার আতংক নিয়ে এলাকা ছাড়া। নির্বাচনের দু’দিন পার হলেও অনেক এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা ও তাদের সমর্থকরা এলাকায় অবস্থান করতে পারছেন না। এছাড়া অনেকের নামে একাদিক মামলা থাকায় গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে বলেও জানায় সূত্র। তবে আওয়ামী লীগের একাদিক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতারাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যারা অপরাধী ও খারাপ প্রকৃতির লোকজন তারা এলাকায় না আসার কারন প্রশাসন তাদের গ্রেফতারে ততপর রয়েছে। প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে প্রশাসনের ভূমিকা থাকবে। তারা বলেন, যে কোন সংহিংসতা এড়াতে প্রশাসন কঠোরহস্তে দমন করবেন।

নারায়ণগঞ্জ আদমজী নগরী র‌্যার-১১ এর অধিনায়ক (সিইও) নৌবাহিনীর কমান্ডার রাসেল আহমেদ কবির বলেছেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ জানুয়ারী পর্যন্ত ‘নির্বাচন পরবর্তী যেকোন সহিংসতা কঠোরহস্তে দমন করা হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। দেশের অন্যান্য জেলায় কোন কোন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও নারায়ণগঞ্জ জেলার কোথাও কোন ঘটনা ঘটে নি বলেও জানান। এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে নির্বাচনীয় পরবর্তী সময় বিশেষ কোন মহল সংহিংসতা করতে পারে বলে মহড়া অব্যাহত রেখেছেন। তবে আগামী ৩ জানুয়ারী থেকে চেকপোষ্ট গুলো ক্লোজ করা হবে।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শহরের চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন। তিনি এও বলেন, যে র‌্যাব-১১ নিরাপত্তায় যে মহড়া দিয়ে থাকে তা অব্যাহত থাকবে। আমরা আশা করবো, এই নির্বাচনকে ঘিরে কোন মহল যেন কোন ধরণের অস্থীতিশীল পরিস্থিতি না করে সেজন্য আমাদের মহড়া চলবে। র‌্যাব সবসময় আপনাদের পাশে আছে। র‌্যাব-১১ সিইও রাসেল আহমেদ কবির। জেলা শহরের আশপাশ উপজেলায় আপরাধ দমনে র‌্যাব-১১ সফলতা রয়েছে বলে, সাধারন মানুষ বিভিন্ন সময় আইনী সহযোগিতায় অভিযোগ দিয়ে থাকেন র‌্যাব-১১তে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ